কুবিতে নতুন ১৮ বিভাগ, ৪ ইনস্টিটিউট চালুর সুপারিশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে সার্বিকভাবে আসনসংখ্যা কমানোসহ অর্গানোগ্রামে আরও ১৮টি বিভাগের অন্তর্ভুক্তি, চারটি ইনস্টিটিউট চালু, ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, নতুন আরও ১৮টি বিভাগের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এরমধ্যে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো হলো পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, জৈব রসায়ন ও আণবিক জীববিজ্ঞান বিভাগ এবং বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত গুলো হলো সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। কলা ও মানবিক অনুষদভুক্ত গুলো হলো ইসলামিক স্টাডিজ ও কালচার, ইতিহাস বিভাগ এবং দর্শন বিভাগ। ব্যবসায় অনুষদভুক্তগুলো হলো ট্যুরিজম এন্ড হসপিট্যালিটি ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস ইনফরমেটিক্স, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এবং লজিস্টিক ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ।
প্রকৌশল অনুষদভুক্তগুলো হলো ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল বিভাগ ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। আইন অনুষদভুক্ত বিভাগটি হলো ক্রিমিনলজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস বিভাগ।
পাশাপাশি চারটি ইনস্টিটিউট গঠনের সুপারিশ করা হয়। এগুলো হলো আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র এবং অ্যাকাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র। এ ছাড়া এগুলোর গঠন কাঠামোও সুপারিশ করা হয়েছে।
এর মধ্যে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, নিয়মিত অধ্যাপক দুইজন, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার বা ম্যানেজার একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং একজন ক্লিনার।
এ ছাড়া, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নত গবেষণা কেন্দ্র, অ্যাকাডেমিক মান বৃদ্ধি কেন্দ্র– এ দুটির জন্য পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক, অতিথি অধ্যাপক থাকবেন একজন, অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে একজন অধ্যাপক অথবা সহযোগী অধ্যাপক, সেকশন অফিসার অথবা ম্যানেজার হিসেবে একজন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট একজন, অফিস সহায়ক দুইজন এবং ক্লিনার একজন। তা ছাড়া ১২টি বিভাগে পিএইচডি ডিগ্রি চালুর প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ন্যূনতম ২৬ জন করে শিক্ষক রাখার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও জানা যায়, ল্যাব বেইজড বিভাগগুলোতে আসন সংখ্যা কমিয়ে ৪০টি এবং ল্যাববিহীন বিভাগগুলোতে ৫০টি আসন রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা মিটিংয়ে আলোচনায় এগুলো সুপারিশ করেছি। আর অর্গানোগ্রাম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় ডিপার্টমেন্টের জন্য ছাড়পত্র চায়, তারপর কমিশন (ইউজিসি) যদি অনুমোদন দেয়, তখন সেটা অর্গানাগ্রামে যুক্ত হয়। অর্গানোগ্রামে থাকলেই যে বিভাগ হয়ে যাবে, এমন না। একটা অনুমোদন দিয়ে রাখে। এই অনুমোদনের আলোকে আবার যখন দরখাস্ত দেওয়া হয়, তখন কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউজিসি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে আসন সংখ্যা কমাতে, যাতে কোয়ালিটি এডুকেশনের নিশ্চিত হয়। তারা ল্যাব বেজড বিভাগের জন্য ৪০টি আসন এবং ল্যাববিহীন বিভাগের জন্য ৫০টি আসন বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।’
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘অনেকগুলো সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। তবে এখনই না দেখে বলা যাচ্ছে না। রেজ্যুলেশন পাস হলে বিস্তারিত বলতে পারব।’
