ভিপির কড়া বার্তা /
সূর্যসেন হলের ক্যাফেটেরিয়ায় হাফপ্যান্ট চলবে না
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারের মান ও কর্মচারীদের হাফপ্যান্ট পরে কাজ করাসহ নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগে নবনির্বাচিত হল সংসদ ভিপি আজিজুল হকের তোপের মুখে পড়েছেন ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজার।
খাবারের মান উন্নয়নসহ পরিস্থিতির পরিবর্তন করার জন্য ম্যানেজারকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন ভিপি আজিজুল হক। তা না হলে ১৫ দিন পর ক্যাফেটেরিয়ার দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখার কথাও বলেছেন তিনি।
গতকাল রবিবার সূর্যসেন হলের ক্যাফেটেরিয়া পরিদর্শন করে নানা অব্যবস্থাপনা পান ভিপি। এ সময় তিনি ম্যানেজারকে এসব বিষয়ে অবহিত করে আলটিমেটাম দেন।
পরিদর্শনকালে ভিপি আজিজুল হক ক্যাফেটেরিয়া ম্যানেজার মোহাম্মদ নোমানকে বলেন, ‘আপনারা আলু খাওয়াচ্ছেন পচা, ডালের মধ্যে ডাল নেই। আপনারা ৪২ বছর ধরে ক্যাফেটেরিয়া চালানোর পরও ন্যূনতম পরিবর্তন আমরা দেখিনি, তাহলে আপনাদের কেন রাখব?’
তিনি বলেন, ‘আপনারা তিনটি কারণ বলেন কেন আপনাদের রাখব? এখন কেউ ফাও খায় না, টাকা কম দেয় না, তাহলে খাবারের মান কেন ভালো হবে না?
আজিজুল হক বলেন, রান্নাঘরে আপনার কর্মচারীদের মাথায় ক্যাপ নাই, তারা অভিযোগ করেছেন তাদের ক্যাপ কিনে দেননি। রান্নাঘরের আনাচে-কানাচে সিগারেটের ফিল্টার পড়ে আছে। আরও দেখেছি কয়েকজন কর্মচারী হাফপ্যান্ট পরে কাজ করছেন। রান্নাঘরে যদি হাফপ্যান্ট পরে কাজ করে তাহলে আপনার (ম্যানেজার) থাকার কী দরকর? কীসের ম্যানেজারি করেন? আপনি ম্যানেজারিয়াল নিয়ম জানেন কোনো?
ঢাবি শিক্ষার্থীদের ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘শিক্ষার্থী সংসদ-২’ এ একজন লিখেছেন, রান্নাঘরের অধিক তাপে শরীরের অতিরিক্ত ঘাম গড়িয়ে ভাত, আলুভাজি, শাকসবজির মধ্যে পড়ে; সেইগুলা যদি খেতে পারেন, তাহলে মেনে নেবো যে, আজিজুলের ভুল হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
তিনি বলেন, রান্নার সময়ে ফুলপ্যান্ট পরা থাকলে শরীরের/পায়ের ঘামগুলো অন্তত প্যান্টের কাপড়ে লেগে থাকে। কিন্তু যখন ঢিলেঢালা প্যান্ট পড়া থাকে, তখন অনেক সময় পুরো শরীরের ঘাম পা বেয়ে বেয়ে সুন্দরমতো ভাতের পাত্র, সবজির মধ্যে পড়ার সম্ভাবনা (আশঙ্কা) থাকে, সেই কারণেই হাফপ্যান্ট পড়ে রান্না করার জন্য বারণ করা।
হল সংসদের এই ভিপি পরবর্তী বলেন, ‘আমি স্বীকার করছি, তাদের সতর্ক করার সময় আমার ব্যবহার কিছুটা উচ্চবাচ্য হয়ে গিয়েছিল। যদিও যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তারা জানেন এখানে সব ক্যানটিন ও ক্যাফেটেরিয়া নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়। সামনে থেকে আমরা আচরণে আরও সংযত ও মার্জিত থাকার চেষ্টা করব।’