মালিকের ছেলেকে অপহরণের মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ১৬ বছর আগে মালিকের আড়াই বছরের শিশু ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির মামলায় আসামি সাদ্দাম হোসেন ওরফে মুকুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে একই সঙ্গে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, যা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন:
অপহরণ মামলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি সাদ্দাম ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, সাদ্দাম কামরাঙ্গীরচরে আবুল খায়েরের প্ল্যাস্টিক কারাখানায় পাঁচ হাজার টাকা বেতনে চাকরী করতেন। ২০০৯ সালের ১৫ অগাস্ট সাদ্দাম মালিকের আড়াই বছরের শিশুপুত্র আরিফকে অপহরণ করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর নিয়ে যান। এ ঘটনায় আবুল খায়ের কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। ওইদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার দিকে সাদ্দাম মোবাইলে ফোন করে আরিফকে ফিরে পেতে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরদিন ১৬ অগাস্ট আবুল খায়ের থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ মির্জাপুরের গোড়াইল সৈয়দপুর থেকে শিশু আরিফকে উদ্ধার করে এবং সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে। মামলাটি তদন্ত করে কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মাসুম খান ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাদ্দামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।