বাকৃবিতে ৬ শর্তে আন্দোলন প্রত্যাহারের আশ্বাস শিক্ষার্থীদের

বাকৃবি প্রতিনিধি
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:০২
শেয়ার :
বাকৃবিতে ৬ শর্তে আন্দোলন প্রত্যাহারের আশ্বাস শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলন নিয়ে তৃতীয় দফায় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। নতুন উত্থাপিত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের শর্তে তারা আন্দোলন প্রত্যাহারের আশ্বাস দিয়েছেন।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার কক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. জোয়ার্দ্দার ফারুক আহমেদসহ শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলনরত ছাত্র হিমেল বলেন, ‘অনুষদের সকল শিক্ষার্থী সর্বসম্মতিক্রমে চলমান আন্দোলনের সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে নতুন ৬টি প্রস্তাবনা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। প্রশাসন আমাদের কাছে কিছু সময় চেয়েছেন যাতে শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। তবে আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন শিথিল করা হবে না।’

আরেক ছাত্র মঈন ইসলাম বলেন, ‘আমরা ছয়টি প্রস্তাবনা দিয়েছি। আশা করছি শিক্ষকরা উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে আজ রাতের মধ্যেই আমাদের একটি সুষ্ঠু সমাধান জানাবেন।’

ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ছয়টি প্রস্তাবনার বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আজকের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর চেষ্টা করব। এরপর একাডেমিক কার্যক্রম ও হল খোলার বিষয়ে জানানো হবে।’

শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৬ দফা দাবি হলো:

১. গত ৩১ আগস্টের বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে এই শর্তে বিএসসি ইন ভেট ও এএইচ ডিগ্রির আসন ২০০, পশুপালন অনুষদে আসন ২৫ এবং ভেটেরিনারি অনুষদে আসন ২৫ হতে হবে। চলমান ব্যাচের জন্য লেভেলভিত্তিক পৃথক সিলেবাস প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির আওতায় আনতে হবে, যাতে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল থেকে সনদ প্রাপ্তিতে কোনো জটিলতা তৈরি না হয়। এ ছাড়া টেকনিক্যাল কমিটি ২০ কার্যদিবসের মধ্যে কম্বাইন্ড কোর্স কারিকুলামের সম্পূর্ণ সিলেবাস প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবে।

২. ৩১ আগস্ট রাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে প্রশাসনকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা চেকপোস্ট স্থাপনসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রহণ করবে।

৩. আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোনো শিক্ষার্থীকে একাডেমিক বা প্রশাসনিক কোনো শাস্তি বা জটিলতার সম্মুখীন করা হবে না এই মর্মে লিখিত বিবৃতি দিতে হবে।

৪. বহিরাগত হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে হবে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বহিরাগতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৫. হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের শিক্ষকতার বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে।

৬. অতি দ্রুত হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার করতে হবে এবং দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে হবে।