‘আমি নিজেই অবাক হয়েছি’
বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন আজ। ১৯৫৪ সালের এদিনে ঢাকাতেই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তখন হয়তো কেউই ভাবেননি, এই কিশোরী একদিন হয়ে উঠবেন বাংলা গানের ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র। বরণ্যে এই শিল্পীর জন্মদিনে টিভি চ্যানেলে থাকছে নানা আয়োজন। এছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শিল্পীকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হবে।
শুরুতেই শিল্পীর কাছে জানতে চাওয়া হলো- বিশেষ এদিনে তার কোনো পরিকল্পনা আছে কী?
উত্তরে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘জন্মদিন নিয়ে আমার কখনো বিশেষ কোনো পরিকল্পনা থাকে না। দিনটি সাদামাটা করেই কাটিয়ে থাকি। তবে অনেকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছে গতকাল রাত থেকে। জন্মদিন উপলক্ষে আজ চ্যানেল আইতে ‘তারকা কথন’ থাকছে। যেখানে সৈয়দ আব্দুল হাদী, কনকচাঁপা, চলচ্চিত্র পরিচালক মতিন রহমান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ উপস্থিত থাকবেন। তারা আমাকে ও আমার কাজ নিয়ে নানা কথা বলেছেন। এছাড়াও আমাকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন সাইখ সিরাজ ভাই। নাম “জুঁইফুল: সাবিনা ইয়াসমিন”। এটিও আজ চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
‘জুঁইফুল’ নিয়ে যদি একটু বলতেন। উত্তরে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘প্রায় তিন ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের এই তথ্যচিত্রটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। নিজের ওপর নির্মিত এটি নিয়ে আসলে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছি না। শাইখ সিরাজ ভাই আমাকে নিয়ে এমন সুন্দর এক একটি কাজ করেছে যা দেখে আমি নিজেই অবাক হয়েছি। তথ্যচিত্রটি এতটা দারুণ আর গোছানো হবে আমিও ভাবিনি।’
আগের জন্মদিনগুলো কীভাবে কাটাতেন? উত্তরে এই গায়িকা বলেন, ‘সেটা তো একেক সময় একেক রকম ছিল। ছোটবেলায় পরিবারের সবাই মিলে আনন্দ করতাম। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই আনন্দটাও ফিকে হয়ে গেছে। বারবার মনে হয় জীবনে কী করেছি? দেশের মানুষের জন্য আরও অনেক কাজ করতে হবে। যাই হোক, জন্মদিনে কাছের বন্ধু আর প্রিয়জনেরা শুভেচ্ছা জানাতে বাসায় আসতেন। সবাই মিলে সময়টা কাটাতাম। তবে আমার পক্ষ থেকে বিশেষ আয়োজন- এটি কখনও ছিল না। আমরা সবাই এক হলে যেমন আয়োজন রাখতে হয় সেটাই করতাম।’
অসুস্থতা কাটিয়ে আবারও গানে ফিরেছেন। কেমন লাগছে? উত্তরে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘একজন শিল্পীর কাছে এটি অবশ্যই ভালো লাগার জায়গা। কারণ শিল্পীর প্রাণই হচ্ছে গান। আমি সব সময় ভালো গানের অপেক্ষায় থাকি। এটা এক ধরনের শিল্পীর লোভ। যা বলে বোঝানো যাবে না।’