অবশেষে জামিন আবেদন লতিফ সিদ্দিকীর

আদালত প্রতিবেদক
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:০৭
শেয়ার :
অবশেষে জামিন আবেদন লতিফ সিদ্দিকীর

‎মান-অভিমান ভেঙে অবশেষে আদালতে জামিন করেছেন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। তবে তার আইনজীবী জামিন শুনানি করেননি।

‎আজ বুধবার ঢাকার শাহবাগ থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনে করা এই মামলায়‎ জামিন আবেদনগুলো ঢাকার মেট্টোপলিটন মাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালতে শুনানির জন্য উপস্থাপিত হয়।

লতিফ সিদ্দিকীসহ সাতজন আসামি জামিন আবেদন করেন। জামিন চাওয়া অপর ব্যক্তিরা হলেন গোলাম মোস্তফা, জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, আমির হোসেন সুমন, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, আব্দুল্লাহীল কাইউম।

লতিফ সিদ্দিকী ছাড়া ছয়জনের পক্ষে আইনজীবীরা শুনানি করলে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে। আর লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

‎পরে লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী প্রথমে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে চাননি। পরে সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্নার ওকালতনামা দেখে তিনি স্বাক্ষর করেন। আমরা জামিন আবেদন করি। তিনি একজন বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। তার অসুস্থ বিষয় পরিবার অসুস্থতার মেডিকেল রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল। সেটা দেখিয়ে জামিনের জন্য শুনানি করার কথা ছিল, কিন্তু শুনানির আগে আমরা তা পাইনি। এ জন্য তার জামিনের আবেদন আমরা প্রত্যাহার করছি।’

‎এর আগে গত ২৮ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকী এই মামলায় আদালতে উপস্থাপন করা হলে তিনি আদালতের প্রতি আস্থা নেই জানিয়ে জামিন চাইবেন মর্মে আইনজীবীকে ওকালতনামায় স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করেন।

‎মামলার বিবরণী অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে গত ৫ অগাস্ট ‘মঞ্চ-৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় ডিআরইউতে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সংগঠন। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে একদল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন।

একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলের দরজা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিতও করেন। হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেওয়াদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে অতিথিদের অনেককেই বের করে দেওয়া হলেও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম। পরবর্তীতে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

‎লতিফ সিদ্দিকী ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না, কাজী এটি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, দেওয়ান মোহম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন।