ভারসাম্যপূর্ণ সরকার গঠনে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই: হেলাল
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেছেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তাতে সকল জনগণের মতামতের প্রতিফলন হবে। একটি ভারসাম্যপূর্ণ স্থিতিশীল সরকার গঠনে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। আগামীতে যাতে আর কোনো সরকার স্বৈরাচার হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করতে হবে।’
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশালের ৬টি সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বরিশাল-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, ‘দেশে সাংবাদিকবান্ধব আইন আজও হয়নি। যে কারণে অনেক সাংবাদিক সত্য লিখে আজ ভুক্তভোগী হয়েছেন। তাছাড়া বরিশালে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। জেলার একমাত্র শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজটি ভঙ্গুর দশায় রয়েছে। নগরীতে এখনো অনেকে রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুতের সমস্যায় ভুগছেন। মানুষের এসব দূর্ভোগ দেখলে সহ্য করা কঠিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাওয়া থেকে বরিশাল রাস্তাটি খুব দ্রুত অন্তত চার লেনে উন্নিত হওয়া দরকার। পদ্মাসেতু নির্মাতাদের ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে লুটপাটকারীদের বিচার চাই।’
অ্যাডভোকেট হেলাল আরও বলেন, জুলাই ঘোষণার আইনি ভিত্তি স্থাপন জরুরি। অবিলম্বে এটা দিতে হবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ন্যায়ের শাসন কায়েমই হবে মূল লক্ষ্য। দেশের মানুষ দায়িত্ব দিলে দল মত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণে কাজ করবো।
মানুষ কেন জামায়াতকে ভোট দিবে—এমন প্রশ্নের জবাবে হেলাল বলেন, ‘উপমহাদেশের রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী নির্বাচনে জামায়াতকেই বেছে নেবে জনগণ। কেননা জামায়াত এখন গণমানুষের আস্থার প্রতীক।’
সাম্প্রতিক ভিপি নুরের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নুরের ওপর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা জামায়াতের আমির ও বরিশাল-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবদুল জব্বার, মহানগর জামায়াতের আমির ও বরিশাল-৩ আসনের প্রার্থী অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন বাবর, বরিশাল-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা কামরুল ইসলাম খান, বরিশাল-২ আসনের প্রার্থী মাস্টার আ. মান্নানসহ জেলা ও মহানগর জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।