নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি, জুলাই ২০২৪ আন্দোলনের অগ্রনায়ক নুরুল হক নুরের ওপর সংঘটিত অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সহযোগী দল জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন ‘জুলাই যুদ্ধ আহত কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘আপা গেছে যেই পথে, জাপা যাবে সেই পথে’, ‘নুরের উপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’ ইত্যাদি।
জুলাইযোদ্ধা অর্নব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি এখনো ফ্যাসিবাদী শাসনের স্বপ্ন দেখে, তবে তা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। আইন উপদেষ্টা কেবল প্রতিবাদ জানালেন, কার্যকর ব্যবস্থা নিলেন না। এটা জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। সিটিং মিনিস্টার ব্যবস্থা না নিয়ে কেবল প্রতিবাদ জানাতে পারেন কীভাবে? জাতীয় পার্টি নির্বাচনের আগে ভারতে গিয়ে যে ৩টি চুক্তি করেছিল, তা প্রকাশ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একজন জাতীয় নেতা নুরুল হক নুরের ওপর হামলা প্রমাণ করে ইন্টেরিম সরকারে এখনও ফ্যাসিবাদীরা সক্রিয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে ভারত ও তাদের বিশ্বস্ত সেনা প্রধানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রেখেছিল। আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উইং ধ্বংস না করা পর্যন্ত তাদের আধিপত্য শেষ হবে না।’
আরও পড়ুন:
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের অতর্কিত হামলা
ইবির সাবেক সমন্বয়ক সুইট বলেন, ‘নুর শুধু জুলাই ২০২৪ আন্দোলনের অগ্রনায়ক নন, তিনি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনেরও নেতা। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার।’
তিনি বলেন, ‘নুরের ওপর হামলা আসলে জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের ওপর হামলারই ইঙ্গিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে সেনাবাহিনীকে সন্দেহের চোখে দেখি। ইন্টেরিম সরকারের উচিত হামলায় জড়িত পুলিশ ও সেনা সদস্যদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা। তা না হলে আবারও দেশে অভ্যুত্থানের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!