চ্যাটজিপিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন প্রযুক্তি
চ্যাটজিপিটি আসলে কী : চ্যাটজিপিটি হলো মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই (OpenAI)-এর তৈরি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর ভাষা মডেল। ‘জিপিটি’ শব্দের পূর্ণরূপ হলো Generative Pre-trained Transformer। সহজভাবে বললে, এটি এমন এক ডিজিটাল সহকারী, যা মানুষের ভাষায় কথা বলতে, প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং নানা কাজে সাহায্য করতে পারে।
কীভাবে কাজ করে : চ্যাটজিপিটি বিশাল ডেটাসেট দিয়ে প্রশিক্ষিত। ইন্টারনেটে থাকা বই, প্রবন্ধ, ওয়েবসাইটসহ নানা উৎস থেকে শেখা জ্ঞানের ভিত্তিতে এটি উত্তর তৈরি করে। ব্যবহারকারী একটি প্রশ্ন বা নির্দেশ দিলে মডেলটি তা বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক উত্তর দেয়।
কোথায় ব্যবহার হচ্ছে : শিক্ষা : পড়াশোনায় ব্যাখ্যা, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রবন্ধ তৈরি
মিডিয়া : খবর লেখার খসড়া, ব্লগ ও কনটেন্ট তৈরি
ব্যবসা : গ্রাহকসেবা, রিপোর্ট তৈরি ও বাজার বিশ্লেষণ
প্রযুক্তি : প্রোগ্রামিং কোড লেখা ও সমস্যা সমাধান
দৈনন্দিন জীবন : ভাষা অনুবাদ, ভ্রমণ পরিকল্পনা, রেসিপি প্রস্তাব
ফ্যাক্ট বক্স : নির্মাতা : ওপেনএআই (OpenAI)
প্রকাশ : প্রথম সংস্করণ ২০২২ সালের শেষদিকে আলোচনায় আসে
প্রযুক্তি : Generative Pre-trained Transformer (GPT)
বিশেষত্ব : মানুষের মতো কথোপকথন ও বহুমুখী ব্যবহার
আরও পড়ুন:
যে গ্রহে হয় বালুবৃষ্টি
সুবিধা ও ফিচার : কথোপকথনের দক্ষতা : মানুষের মতো করে উত্তর দেওয়া
ভাষার বৈচিত্র্য : বহু ভাষায় ব্যবহারযোগ্য
সৃজনশীলতা : প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প কিংবা বিজ্ঞাপন লেখা
প্রোগ্রামিং সহায়তা : কোড তৈরি ও ব্যাখ্যা দেওয়া
সহজলভ্যতা : যে কোনো ডিভাইস থেকে অনলাইনে ব্যবহারযোগ্য
আরও পড়ুন:
এআই টিম ভেঙে দিল মেটা
সীমাবদ্ধতাও আছে : চ্যাটজিপিটি সব সময় শতভাগ সঠিক তথ্য দেয় না। কখনও পুরনো তথ্য ব্যবহার করতে পারে কিংবা অনুমানভিত্তিক উত্তর দেয়। তাই ব্যবহারকারীর সচেতনতা জরুরি।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা : প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চ্যাটজিপিটি শুধু প্রশ্নোত্তর নয়, বরং আগামী দিনে শিক্ষা, ব্যবসা ও যোগাযোগের ধরন বদলে দেবে। এটি আমাদের ডিজিটাল সহচর হয়ে উঠবে, তবে এর সঠিক ও নৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করাটাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।