শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চালাকালে হঠাৎ অসুস্থ ২০ শিক্ষার্থী

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৭ আগস্ট ২০২৫, ২০:৩৬
শেয়ার :
শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চালাকালে হঠাৎ অসুস্থ ২০ শিক্ষার্থী

প্রতিদিনের মতো শ্রেণিকক্ষে চলছিল পাঠদান। প্রথম ঘণ্টার পাঠদান ঠিকঠাক থাকলেও পরের ঘণ্টায় শুরু হয় তীব্র দুর্গন্ধ। যা এতোটাই তীব্র ছিল যে শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে ছাড়তে হয়েছে শ্রেণিকক্ষ। এর মধ্যে তাড়াহুড়ো করে ভবন থেকে বের হতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ শিক্ষাথী। তাদের মধ্যে ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আট জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসাপাতালে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা।

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার নারকেল বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা হল, নারকেল বাড়ি গ্রামের রিপন বৈদ্যের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ঝিলিক বৈদ্য (১৪), রফিকুল ইসলামের ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ খন্দকার (১২), সুরঞ্জন বৈদ্যের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি (৯), বদরতলা গ্রামের অবির বাড়ৈর মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ঝুমা বাড়ৈ (১৩), হাজরাবাড়ি গ্রামের মাখন লালের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রোদেলা (১৪), ভূতের বাড়ি গ্রামের লুতফর মীরের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিয়ান্তা মীর (১৬) ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিতা হালদার (১৪)। 

ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুপ্রিয়া খানম (১২) বলেন, ‘নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১ম পিরিয়ড শেষে আমাদের তখন ২য় পিড়িয়ডে গণিত ক্লাস চলছিল। ক্লাস শুরু ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হঠাৎ করে জানালা দিয়ে একটা বিষাক্ত গন্ধ আসে। মনে হচ্ছিল দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। দ্রুত সবাই ২য় তলা থেকে নিচে নেমে স্কুল মাঠে চলে আসি। এরই মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে।’

নারকেল বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেরী দেরাবতী বলেন, ‘আমি পাশের ভবনে রাউন্ডে ছিলাম। হঠাৎ হৈ চৈ শুনে ছুটে আসি। দেখি সবাই ছোটাছুটি করছে।’

সহকারী প্রধান শিক্ষক দুলাল মধু বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে কীটনাশকের মতো গন্ধ আসায় সবাই বাহিরে চলে এসেছে। তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের চার দিকে অনুসন্ধান করে গন্ধের উৎস খুঁজে পাওয়া যায় নাই। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থবোধ করায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।’

কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কুমার মৃদুল দাস বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসে। তাদের সার্বক্ষণিক তদারকিতে রেখেছি। দুর্গন্ধে বা আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই।’