অর্থ আত্মসাতের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক
২৭ আগস্ট ২০২৫, ১৮:০৪
শেয়ার :
অর্থ আত্মসাতের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উন্নয়ন কাজের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাবেক উপাচার্য (ভিসি) নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দিয়েছেন।

‎মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

‎আজ আসামি কলিমউল্লাহর পক্ষে আইনজীবী শাহনাজ সুমি রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে করা শুনানিতে বলেন, ‘নিয়মবর্হিভূতভাবে তিনি কিছু করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সবকিছুতে একার বিষয় থাকে না। চাইলেই ২/৪ জন টাকা আত্মসাৎ করে নিতে পারে না। সবকিছু ডকুমেন্টারি ব্যাপার। তিনি কিছু আত্মসাৎ করেননি। বিধি, নিয়ম-কানুনের সাথে সবকিছু করেছেন। বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। তার রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের প্রার্থণা করছি।'

‎দুদকের প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমি জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, দুদকের মামলা হঠাৎ করে হয় না। দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান হয়। আসামিও সে বিষয়ে অবগত থাকেন। তিনি মামলার অভিযোগ তুলে ধরে রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এবং জামিনের বিরোধিতা করেন।

‎এর আগে গত ৬ আগস্ট সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিনহাজ বিন ইসলাম তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।

‎বেরোবির উন্নয়নকাজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কলিমউল্লাহসহ ৫ জনকে আসামি করে গত ১৮ জুন মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার অপর আসামিরা হলেন বেরোবির সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু ও এম এম হাবিবুর রহমান।

‎মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। তারা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের বেশি চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া করেন। ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে নেওয়া নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখেন।