‘ছুরিকাঘাতের ঘটনা ডাকসুর নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না’
রুমমেটকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালকে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ।
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের রাতের ঘটনা ডাকসুকেন্দ্রিক বলে আমার কাছে মনে হয়নি। কাজেই এই ঘটনা ডাকসুর নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি না।’
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের ৪৬২ নম্বর রুমে ছুরিকাঘাতের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই জালালকে তাৎক্ষণিভাবে হল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন হল প্রাধ্যক্ষ ড. মো. সিরাজুল ইসলাম।
এদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, হল প্রশাসন এরই মধ্যে বাদী হয়ে জালাল আহমদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। এখন মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া প্রচলিত আইন অনুযায়ী চলবে।
ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর জালালের ডাকসুর ভিপি প্রার্থীতা থাকবে কিনা জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘তার প্রার্থীতা থাকবে কি থাকবে না সেটা নির্বাচন কমিশন তাদের বিধি-বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
জালাল আহমদের বিরুদ্ধে আগের একাধিক অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না। তবে আজকের ঘটনার পর সবগুলো বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।’
হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও শিক্ষার্থীদেরকে দেখেছি হল প্রশাসন বিশেষ করে প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে। তবে তারা যদি বুধবার কোনো এক সময়ে উপাচার্যের সঙ্গে বসে তাদের দাবি দাওয়া পদ্ধতিগতভাবে জানায়, সে ক্ষেত্রে তাদের দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
অভিযুক্ত জালাল আহমেদ ঢাবির টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম ডিপার্টমেন্টের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর আহত রবিউল হক ২০১৮-১৯ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় সহপাঠীরা রবিউল হককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের রোষানল এড়াতে নিজ কক্ষে আবদ্ধ ছিলেন জালাল আহমদ। পরে প্রক্টর এবং হল প্রভোস্টের সহায়তায় তাকে শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।