আগে বিচার পরে জকসু নির্বাচন: জবি ছাত্রদল

জবি প্রতিনিধি
২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৯:০৫
শেয়ার :
আগে বিচার পরে জকসু নির্বাচন: জবি ছাত্রদল

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, ফ্যাসিস্ট শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচার নিশ্চিতের পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন চায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তির দাবির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

মানবন্ধনে শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘আমরা জকসু চাই কিন্তু এই ক্যাম্পাসে কোনো গণহত্যাকারী থাকতে পারবে না, কোনো ফ্যাসিস্টের বিচরণ থাকতে পারবে না। একইসঙ্গে ছাত্রদলের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সম্পূরক বৃত্তির সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিতে হবে।’

উপাচার্যকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘কুসুম কুসুম আন্দোলন দিয়ে গদি রক্ষার চেষ্টা করবেন না। আমরাও অবরুদ্ধ করতে পারি। আমরা ভিতর রেখে নয়, বাইরে রেখেই তালা দিবো। সচিবালয়, ইউজিসিতে যদি কোনো ফাইল লাগে, তবেই তালা খোলা হবে। তার আগে নয়।’

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘অন্যান্য ক্যাম্পাসে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের বিচার করা হয়েছে। কিন্তু এ কাজে জগন্নাথ পিছিয়ে। তাদের বিচার না করে জকসু নির্বাচন দিলে ভোট দিবে ছাত্রলীগ, ভিপি হবে ছাত্রলীগ। আমরা অবশ্যই জকসু নির্বাচন চাই কিন্তু এই সন্ত্রাসী লীগের বিচারের পর। কাল তাদের বিচার করে, পরশুই জকসু নির্বাচন হোক, আমাদের আপত্তি নেই। একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী জকসু নির্বাচনের নামে শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি সম্পূরক বৃত্তিকে আড়াল করে ফেলেছে। তাদের এই উদ্দেশ্য সফল হবে না।’

এসময় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহম্মদ, সুমন সরদার, শাহরিয়ার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, রুপোন্তি রত্না, রাসেল হোসেন, সাখাওয়াতুল ইসলাম পরাগ, নাহিয়ান অনিক, রাশেদ আমিন, রবিউল ইসলাম বক্তব্য দেন। এছাড়া সংগঠনটির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।