ইবির সাবেক প্রক্টরের বহিষ্কার দাবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

ইবি প্রতিনিধি
২৪ আগস্ট ২০২৫, ২০:০৫
শেয়ার :
ইবির সাবেক প্রক্টরের বহিষ্কার দাবিতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

আওয়ামী শাসনামলে সাজানো ক্রসফায়ার, তথাকথিত জঙ্গিবাদের নাটক, বিরোধী মতের দমন-পীড়ন এবং শিক্ষার্থীদের ওপর নানা ধরনের হয়রানির অভিযোগ তুলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে বহিষ্কার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির।

আজ রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘বহিষ্কার বহিষ্কার, মাহবুবের বহিষ্কার’, ‘প্রক্টর মাহবুবের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘মাহবুব জঙ্গি, খুনি হাসিনার সঙ্গী’, ‘প্রক্টর মাহবুবের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ সহ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ মিছিলে ইবি ছাত্রশিবির সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সাবেক প্রক্টর মাহবুব শিক্ষার্থীদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে হয়রানি করেছেন। তিনি পরীক্ষার হল থেকে শিক্ষার্থীদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন, ইসলামী শিক্ষার মক্তব বন্ধ করেছেন এবং বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে অন্যায়ভাবে ছাত্রশিবিরের নাম জড়িয়েছেন। সেই সময়ে তিনি বাদী হয়ে প্রায় ৭০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন, যা এখনও বহাল রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানের এক বছর পরেও প্রশাসনের সঙ্গে এমন ফ্যাসিস্ট প্রকৃতির লোকদের ঘনিষ্ঠতা আমাদের বোধগম্য নয়। তারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, কাকে হত্যা করা যায়, সেই পরিকল্পনাও করছে। তাদের মতো সন্ত্রাসীদের এই ক্যাম্পাসে থাকার কোনো অধিকার নেই। তারা শুধু আওয়ামী শাসনামলেই সক্রিয় ছিল না, বরং এখনও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

শিবির নেতা বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীর মতো আচরণ করবেন এবং আমাদের বোনদের শালীনভাবে পর্দা করার সুযোগ দেবেন। অতীতে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ছাত্র ইউনিয়নের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। এমনকি ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন চলাকালে এই প্রক্টর মাহবুব শিক্ষার্থীদের গুম করার হুমকি দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার জন্য তাদের কোনো অপকর্ম বাদ নেই।’

বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাহমুদুল বলেন, ‘যদি বর্তমান প্রশাসনের সাহস থাকে তবে তাকে অবিলম্বে বহিষ্কার করুক, নয়তো এ প্রশাসনের কোনো প্রয়োজন নেই।’

বক্তব্য শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকসু প্রতিষ্ঠা, সকল কার্যক্রমে ডিজিটালাইজেশন এবং সদ্য ঘটে যাওয়া সাজিদ হত্যার সঠিক বিচার দাবি করেন ইবি ছাত্রশিবির সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান।