'৩২ নম্বরে ফুল নিয়ে যাওয়া নারী-পুরুষকে হেনস্তা করার মধ্যে গণঅভ্যুত্থানের কোনো গৌরব নেই'

অনলাইন ডেস্ক
১৬ আগস্ট ২০২৫, ২২:৪৬
শেয়ার :
'৩২ নম্বরে ফুল নিয়ে যাওয়া নারী-পুরুষকে হেনস্তা করার মধ্যে গণঅভ্যুত্থানের কোনো গৌরব নেই'

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, 'শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের দিনে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুল নিয়ে যাওয়া গুটিকয় নারী-পুরুষকে হেনস্তা করার মধ্যে কোনো গৌরব নেই।এসবের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন রক্ষা করা যাবেনা।'

আজ বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে "ফিরে দেখা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান-প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি" শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'ইতিহাসের বিচার বড়ই নির্মম। জবরদস্তি করে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে গেলে বা নাকচ করতে গেলে তা টেকসই হয়না, বরং তা অনেকক্ষেত্রে তা বুমেরাং বুমেরাং হয়।'

সাইফুল হক বলেছেন, 'বাংলাদেশে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান একবিংশ শতাব্দীতে দুনিয়ার বুকে গণজাগরণ-গণপ্রতিরোধে এক মহাকাব্যিক উপাখ্যানের মত। এই গণ-অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে জনগণের অফুরন্ত শক্তির উদ্বোধন সূচিত করেছে। দুঃখজনক হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের তাৎপর্য বুঝতে পারেনি; একে কাজে লাগাতে পারেনি। এ কারণে ইতিমধ্যে পরিবর্তনের অমিত সম্ভাবনার অনেকটা বিনষ্ট হয়েছে। এখন চেষ্টা হবে আগামীতে এই সম্ভাবনার কতটা ধরে রাখা যায়!'

তিনি আরও বলেন, 'গণ-অভ্যুত্থান অর্জন ধরে রাখার পরবর্তী গন্তব্য হচ্ছে বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়ায় আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যাত্রা করা।'

গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারসমূহকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পুনর্বাসনের আহবান জানান। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, 'ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইটা দীর্ঘ ১৬ বছরের। এই আন্দোলনে ভাগ বিভক্তির কোনো অবকাশ নেই।'

তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, 'দেশ স্বাধীন করতে ৯ মাস লেগেছে, আর এক বছরেও সংস্কারের আলোচনা শেষ হলো না।' তিনি ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ তৈরি করতে সবার প্রতি আহবান জানান। 

আলোচনা সভায় বহ্নিশিখা জামালী বলেন, 'গণ-অভ্যুত্থানে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও গত এক বছরে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।রাজনৈতিকভাবে নারীবিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। 'তিনি নারীর অধিকার ও মর্যাদা বিরোধী সকল তৎপরতা বন্ধ করার দাবি জানান।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির টাংগাইল জেলা কমিটির সভাপতি সাইফুর রেজা মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদুল হাসান পিপলু, মীর রেজাউল আলম, স্থানীয় নেতা ওয়াহিদুজ্জামান মতি, আজাদ খান ভাসানী, অ্যাডভোকেট আলী ঈমাম তপন, শফিউল আলম, নুরুজ্জামান, মাহমুদুল হক সানু, হেদায়েত আলী খান, খোরশেদ আলম, আমিনুল ইসলাম অনল, গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী অভিবাবক শফিকুল ইসলাম, ফিরোজ খান, ছাত্রনেতা মুনসুর হেলাল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা গোলাম রাজিব, শহীদুজ্জামান লাল মিয়া, সুমন খান মাহবুব প্রমুখ।