প্রক্টরের ‘হুমকিতে’ জ্ঞান হারালেন বেরোবি শিক্ষার্থী
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমানের হুমকিতে এক শিক্ষার্থী অজ্ঞান (অবচেতন) হয়ে পড়েছেন। পরবর্তীতে অবস্থা অবনতি ঘটলে ঐ শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে নেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীকে সজিব চন্দ্র দাসক প্রক্টর র্যাগিংয়ের বিষয়ে কথা বলার জন্য ডেকে পাঠান। ঐ শিক্ষার্থী আসার পর প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান ঐ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ আছে বলে জানান। এর জন্য তার ছাত্রত্ব বাতিল করবেন বলে হুমকি দেন।
ছাত্রত্ব বাতিলের কথা শুনে ঐ শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেও জ্ঞান না ফেরলে তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তারের চিকিৎসায় জ্ঞান ফিরে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ১৬ এবং ১৭ ব্যাচের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে প্রশাসন যথাযথ নিয়ম মেনেই সামনে আগাতে পারতো। এভাবে ডেকে নিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়া কোনোভাবেই প্রক্টর করতে পারেন না।’
সজিবের সহপাঠীরা আরো বলেন, ‘এভাবে ডেকে নিয়ে হুমকি দিলে যে কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তখন প্রশাসন কি তার দায়ভার নিবে?’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
যোগাযোগ করা হলে সজিব অসুস্থতার কারণে কথা বলতে পারেননি। তবে তার এক বন্ধু বলেন, ‘এখন কিছুটা সুস্থ আছে। আমরা ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছি।’
এ বিষয়ে জানার জন্য প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি বরং কেটে দেন।
