মহাসড়কেই শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নতুন শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই অনুষ্ঠান মূলত অস্থায়ী অডিটোরিয়ামে হওয়ার কথা থাকলেও স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকা এবং অডিটোরিয়ামের সীমিত আসনসংখ্যার কারণে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে নবীনবরণের দাবি জানায়।
প্রতিবাদস্বরূপ শিক্ষার্থীদের এই দাবির সঙ্গে শিক্ষকরা সংহতি জানিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩-এর সামনে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে আজ সোমবার সকাল ১০টায় এই ওরিয়েন্টেশন শুরু করেন। এসময় সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চেয়ারম্যান নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের মাধ্যমে স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি আগামী একনেক সভায় অনুমোদনের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নবীন শিক্ষার্থী বলেন, ‘সত্যিই এক নতুন অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা আনন্দের, এই অভিজ্ঞতা বিষাদের। আজ যদি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকতো তাহলে আমাদের হয়তো মহাসড়কে ওরিয়েন্টেশন হতো না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনেই স্থায়ী ক্যাম্পাসের আন্দোলনে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমাদের দাবি জানিয়েছিল যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস রাস্তায় নিতে হবে। আমাদের অডিটোরিয়ামটি এত ছোট যে মাত্র ৬০ জন একসঙ্গে বসতে পারে। আমাদের নতুন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫০ জন। ফলে আমাদের রস্তায় ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম করতে হচ্ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজন ডিপিপি হুবহু এবং দ্রুত অনুমোদনের জন্য সরকারের সুনজর কামনা করছি। এতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন আরও প্রাণবন্ত ও সহজ হবে।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ ডিপিপির দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করছে।