পলাতক চালকের সঙ্গে মালিককেও গ্রেপ্তার করতে হবে: রেজাউল করিম
মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের একই পরিবারের সাতজন নিহতের ঘটনায় গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘ঘটনার তিনদিনেও অভিযুক্ত চালক এনায়েত হোসেন আকবরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পলাতক চালকের সঙ্গে গাড়ির মালিক রাসেলকেও গ্রেপ্তার করতে হবে।’
আজ রবিবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামে নেতাকর্মীদের নিয়ে নিহত ছয়জনের কবর জিয়ারত করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম খান সুমন, লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ ও উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলাউদ্দিন আজাদ প্রমুখ।
জামায়াত নেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘মালিকপক্ষ একটা ট্রিপ শেষ করার আগে আরেকটা ট্রিপ কন্ট্রাক্ট করেন এবং চালককে বলে দেয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আরেকটা ধরতে হবে। তখন চালকরা বেপরোয়া হয়ে যায়। এ কাজটি মালিক করেছে কিনা তাও দেখতে হবে। এছাড়া মালিক নাকি নিহতদের স্বজনের গায়েও হাত দিয়েছে। আমরা মালিককে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি কামনা করছি। আর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা প্রত্যাশা করি এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।’
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, ‘চালক আকবর নতুন লাইসেন্স পেয়েছিল। ২০২৯ সাল পর্যন্ত তার মেয়াদ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোটিও নতুন। এটির রুট পারমিটসহ অন্য বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামানের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি। এরপর গত বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রঙ্গত, প্রবাসী বাহারকে নিয়ে তার স্বজনরা বুধবার (৬ আগস্ট) ভোরে বাড়ি ফেরার পথে বেগমগঞ্জের চন্দ্রগঞ্জে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের চার নারী ও তিন শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে বেগমগঞ্জ থানায় প্রবাসী বাহারের বাবা আবদুর রহিম বাদী হয়ে চালক এনায়েত হোসেন আকবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আকবর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা এলাকার পাটোয়ারী বাড়ির মৃত ফয়েজ আহমেদের ছেলে।
