আ.লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ

আদালত প্রতিবেদক
১০ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৩৪
শেয়ার :
আ.লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ

জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিহত ছাত্র আব্দুল্লাহ আল আবির হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১০ নেতাকর্মীসহ সব আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে পুলিশ।

‎জানা গেছে, গত বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই, নিরস্ত্র) রোমেন মিয়া (বর্তমানে সুনামগঞ্জের ছাতক থানায় কর্মরত) আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আজ রবিবার সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের নারাজি আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলে তা পিছিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত।

‎ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান এ নতুন তারিখ ঠিক করেছেন। নারাজিতে রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি ফের তদন্তে পাঠানোর আবেদন করেছে।

‎অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এডিশনাল পিপি) আজিজুল হক দিদার বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের কোন মামলায় এটিই প্রথম ফাইনাল রিপোর্ট। স্পর্শকাতর এই মামলায় পুলিশ তড়িঘড়ি করে দায়সারাভাবে তদন্ত শেষ করেছে। আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ জানিয়ে অতি গোপনে আদালতে ফাইনাল রিপোর্টটি দাখিল করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবীকে এ বিষয়টি জানানো হয়নি। আমরা আদালতে নারাজি দাখিল করেছি।’

‎নারাজি আবেদনে বলা হয়, তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা মনগড়া ও আসামিদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছেন। বাদি বা সাক্ষির কোনো ধরনের জবানবন্দী নেওয়া হয়নি। সাক্ষ্য-প্রমাণ সবই বিদ্যমান আছে।

উল্লেখ্য, জুলাই বিপ্লব চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আবিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলশান এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী তানভীর আলীর নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই হামলা চালান।

‎এ ঘটনায় নিহত আবিরের বন্ধু হাসান মাহমুদ বাদী হয়ে ১৮ আগস্ট আদালতে মামলা করেন। আদালত আবেদনটি এজাহার হিসেবে রুজু করতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দেন।

‎‎মামলায় তানভীর ও বাবুলসহ মোট ১০ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫০ থেকে ২০০ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এজাহারভুক্ত অপর আট আসামি হলেন উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল, গুলশান থানা ছাত্রলীগের নেতা আনিসুর রহমান সুজন, মানিক, সোহাগ, গুলশান থানা শ্রমিক লীগের মহসিন ওরফে কাঁকড়া মহসীন, গুলশান থানা যুবলীগের জামিল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম এবং গুলশান থানা আওয়ামী ওলামালীগ সহসভাপতি আব্দুল হামিদ।