যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা /

‎২৩ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আদালত প্রতিবেদক
১০ আগস্ট ২০২৫, ১৫:০৮
শেয়ার :
‎২৩ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ডালিয়া বেগমকে হত্যার ২৩ বছর পর স্বামী টিটুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রবিবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

‎পাশাপাশি ‎রায়ে আসামির এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। একই সঙ্গে টিটুর মা আমেনা বেগম এবং তার ভাই শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। 

‎‎সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হারুনুর রশিদ দণ্ড ও খালাসের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার আগে আসামি টিটু আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। 

‎‎মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ডালিয়া বেগমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালের টিটু বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে টিটুসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে ডালিয়াকে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের কারণে ডালিয়া আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে আপস করে মামলাটি প্রত্যাহার করে সংসার শুরু করেন তারা। 

তবে টিটু এবং তার পরিবার পুনরায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক না দেওয়ায় ২০০২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকালে টিটু কামরাঙ্গীচর থানাধীন এলাকায় ডালিয়ার শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। টিটুর ভাই শাহ আলম, বোন জীবনী, ভাই মোস্তফা, মা আমেনা বেগম টিপুকে সহযোগিতা করেন।আগুনে ডালিয়া মারাত্মকভাবে জখম প্রাপ্ত হয়ে জ্ঞান হারান। আশপাশের ভাড়াটিয়ারা চিৎকার শুনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান। 

এ ঘটনায় ডালিয়ার বাবা মো. রোস্তম আলী ২০০২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর কামরাঙ্গীচর থানায় মামলা করেন।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান ডালিয়া। 

‎‎মামলাটি তদন্ত করে ২০০৩ সালের ৬ জানুয়ারি কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই জাফর আলী এ তিন আসামিসহ টিটু আরেক ভাই মোস্তফা এবং বোন জীবনীকে অভিযুক্ত করে চর্জশিট দাখিল করেন।ওই বছরের ১৩ মার্চ মোস্তফা এবং জীবনীকে অব্যাহতি দিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।