প্রথম হাঁটা থেকে প্রথম ডাক, ইমো এইচডি ভিডিও কলে সন্তানের প্রথম স্মৃতি
শিশুর মুখে প্রথমবার আধো আধো মা কিংবা বাবা ডাক শুনতে পাওয়া, অথবা প্রথমবার হাঁটতে দেখা নিঃসন্দেহে বাবা-মায়েদের জীবনের সবচেয়ে আবেগঘন ও আনন্দময় মুহূর্ত। কিন্তু আধুনিক সময়ের কর্মব্যস্ত জীবনে অনেক বাবা-মা’ই তাদের সন্তানের বেড়ে ওঠার সময়ের এই জাদুকরী সময়গুলোর সাক্ষী হতে পারেন না। বিশেষ করে, কর্মজীবী মা-বাবার জন্য দিনভর অফিসের চাপ, যাতায়াতের ক্লান্তি আর সময়ের টানাপোড়েনে সন্তানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক থাকা আর প্রতিদিনের ছোট ছোট পরিবর্তন দেখা কঠিন হয়ে পড়ে। অথচ এসব মুহূর্তই একজন বাবা-মায়ের জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দের উৎস!
তবে, প্রযুক্তি এখন সেই দূরত্ব অনেকটাই কমিয়ে এনেছে। সব থেকে সহজ ও নিরাপদ আন্তর্জাতিক ভিডিও কল এবং তাৎক্ষণিক বার্তার অ্যাপ ইমোর এইচডি (হাই-ডেফিনেশন) ভিডিও কল এক্ষেত্রে যুক্ত করেছে এক নতুন সম্ভাবনা।
আরও উন্নত কলিং অভিজ্ঞতা, নিখুঁত ছবি, প্রাণবন্ত রং আর স্পষ্ট শব্দ—এই সব কিছুর সমন্বয়ে অ্যাপটির এইচডি ভিডিও কল যেন দূরত্ব ভুলিয়ে দেয়। সন্তানের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলা, ওর মুখের হাসি দেখা কিংবা জীবনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে ওঠা, সবই সম্ভব করছে এই প্রযুক্তি। যেন আপনি দূরে থেকেও ঠিক সেখানে, আপনার আদরের সন্তানের পাশে।
আদিল রহমানের গল্পটা ঠিক এ ধরনেরই। নয় মাস বয়সী কন্যা সন্তানের বাবা এই ব্যস্ত কর্মজীবীর জন্য প্রতিটি সকাল এক একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ চাকরি ও সন্তানের প্রতি দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য রাখার। অ্যাপটির এইচডি ভিডিও কল সুবিধা আদিলের জীবনকে আরো সহজ করেছে যার মাধ্যমে এই কর্মজীবী বাবা তার কাজ আর পারিবারিক জীবনের মাঝে একটা ভারসাম্য রাখতে পেরেছেন।
সেদিন দুপুরে অফিস থেকে ভিডিও কলে মেয়ের সঙ্গে গল্প করছিলেন আদিল। পর্দার ওপারে বাবার মুখ দেখে ছোট্ট মেয়েটি হাত বাড়িয়ে দেয়। ঠিক তখনই মা একটু অন্যদিকে চোখ ফেরান। আর সেই ফাঁকেই, সামনের চেয়ার ধরে প্রথমবারের মতো পা বাড়ায় মেয়েটি। ফোনের দিকেই হাঁটতে থাকে, বাবার দিকে, পর্দার ওপারে থাকা বাবার দিকে। এই দৃশ্য দেখে আদিলের চোখ ভিজে ওঠে। ভিডিও কলে হলেও, মেয়ের জীবনের এমন এক অবিস্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে তিনি অভিভূত। কাছাকাছি না থেকেও যেন ঠিক পাশে ছিলেন, এই অনুভূতির পেছনে ছিল এইচডি ভিডিও কলের নিখুঁত প্রযুক্তি। এটাই তো প্রযুক্তির সার্থকতা, যেখানে দূরত্ব থাকে, তবু সম্পর্কের উষ্ণতা কমে না।
আরও পড়ুন:
যে গ্রহে হয় বালুবৃষ্টি
ঢাকার আরেক প্রান্তে থাকা আয়েশা আখতারের গল্পটা একটু আলাদা। তার ১৫ মাস বয়সী ছেলে এখনও হাঁটতে শেখেনি, উপরন্তু শরীরটাও বেশ কিছুদিন ধরে ভালো নেই। মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ করে যখন ছয় মাস আগে কর্মস্থলে ফিরলেন আয়েশা, তখন থেকেই ছেলেটি দাদা-দাদির কাছে থাকছে। প্রতিদিন অফিসের বিরতির ফাঁকে ফাঁকে আয়েশা ছেলের সঙ্গে ইমোর এইচডি ভিডিও কলে যুক্ত হন – শুধু দেখার জন্য নয়, তার খোঁজখবর রাখাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। খেলছে কি না, খেয়েছে কি না, তার শারীরিক অবস্থা, সবই ভিডিও কলে নজরে রাখেন আয়েশা।
অভিভাবক ও সন্তানের জন্য, এই মুহূর্তগুলো শুধুই ভিডিও কল নয়, এগুলো স্মৃতির ভাণ্ডার, ভালোবাসার নিদর্শন। সাধারণ ভিডিও কলের ঝাপসা আর ভেঙে পড়া ছবির বদলে ইমোর এইচডি ভিডিও প্রতিটি ফ্রেম করে তোলে নিখুঁত, প্রাণবন্ত। শিশুর মুখের হাসি, চোখের ঝিলিক, মায়ের ডাক শুনে মুখ ঘুরিয়ে তাকানো সহ সবকিছুই যেন বাস্তবের মতো দেখা যায় পর্দায়।
আরও পড়ুন:
এআই টিম ভেঙে দিল মেটা
যারা প্রতিদিন সন্তানের পাশে থাকতে পারেন না, তাদের জন্য এটি শুধু প্রযুক্তি নয়, এ এক আবেগের আশ্বাস। সন্তানের কাছেও দিনে একবার পরিচিত মুখ আর গলা শুনতে পাওয়া মানে নিঃসন্দেহে একটা ভরসার জায়গা। বিশেষ করে, কর্মজীবী মা-বাবার জন্য, যেখানে এখন অধিকাংশ পরিবারই দুজনের আয়ে চলে, অ্যাপটির এইচডি ভিডিও কল নিছক একটি যোগাযোগের একটি মাধ্যম নয়। বরং সন্তানের জীবনের সঙ্গে সত্যিকারের সংযুক্ত থাকার মাধ্যম।