আওয়ামীপন্থী ২১ শিক্ষকের নাম প্রকাশ করে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরোধিতাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশের শুরুতে ব্যানারে ২১ শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করে ‘দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন তারা। পরে সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘খুনি হাসিনা সরকারকে যারা দীর্ঘস্থায়ী করেছিল, সেসকল শিক্ষককের তালিকা উন্মোচন করেছি। তারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল এবং আমাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হামলা-মামলাসহ সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) দিয়ে দমনে সহায়তা করেছিল। এসকল দোসরদের বিচার চেয়ে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, কিন্তু তারা নিরব। এ প্রশাসন আমাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে সেই দোসরদের সঙ্গে আঁতাত করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও প্রতারণা করছে।’
অবিলম্বে এই দোসরদের বিচার নিশ্চিত না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন একপাক্ষিক, জামায়াতি প্রশাসন কোনো একটা দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য রাকসু বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছেন। অথচ সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল রাকসু বাস্তবায়নের জন্য কিছুদিন আগেও দাবি জানিয়ে এসেছিলো। কিন্তু আমাদের দাবির মূলে ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষক, হাসিনার দোসর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের বিচার নিশ্চিত করা। আওয়ামী দোসরদের বিচার ছাড়া, রাকসু কার্যক্রম সুষ্ঠু হবে না।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
২১ শিক্ষকদের তালিকায় রয়েছেন- তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম একরামুল্লা ও অধ্যাপক সুলতান মাহমুদ রানা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাক আহম্মেদ, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী জাকারিয়া, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম, মার্কেটিং বিভাগের ড. এম. বোরাক আলী, অধ্যাপক শাহ আজম ও ড. মো. ওমর ফারুক সরকার। ইংরেজি বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রভাস কুমার কর্মকার, আইন বিভাগের অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান, আবু নাসের ওয়াহেদ, ও সাদিকুল ইসলাম, শিক্ষা গবেষনা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এনএএম ফাইসাল আহম্মেদ, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেন, কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদ হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আন্নাতুল ফেরদৌস।