জিহ্বা দেখে স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝবেন যেভাবে
আমাদের জিহ্বা আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। এটি আমাদের স্বাদ উপলব্ধি করতে, স্পষ্টভাবে শব্দ গঠন করতে, খাবার চিবানো এবং গিলতে সহায়তা করে। বেশিরভাগই স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার সময় এটি উপেক্ষা করে। যখন তারা জিহ্বায় কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করে, তখন হয়তো অনেক দেরি হয়ে যায়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আপনার জিহ্বা সামগ্রিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক আশ্চর্যজনক বিষয় প্রকাশ করতে পারে। পুষ্টির ঘাটতি থেকে দুর্বল রক্ত সঞ্চালন পর্যন্ত - নির্দেশ করতে পারে অনেক কিছু। জেনে নিন জিহ্বা দেখে স্বাস্থ্যের অবস্থা বোঝার উপায়
১. সাদা আবরণ
আপনার জিহ্বা কি হঠাৎ সাদা রঙের হয়ে গেছে? এটি আপনার জিহ্বায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে। এই আকস্মিক পরিবর্তন খারাপ মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি, ডিহাইড্রেশন এবং মুখের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে হতে পারে। তাই জিহ্বায় সাদা আবরণ পড়লে একদমই অবহেলা করবেন না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়মিত আদা চা পান করতে পারেন।
২. লাল বিন্দু
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
আরেকটি সাধারণ জিহ্বার সমস্যা হলো লাল বিন্দু। এটিকে হালকাভাবে নেবেন না, কারণ এটি শরীরে অতিরিক্ত তাপ নির্দেশ করতে পারে। এই বিন্দুগুলো খুব গরম খাবার এবং পানীয় গ্রহণের ফলেও হতে পারে। এটি সমাধানের জন্য পান্তা ভাত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে শীতল করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি জিহ্বা এবং পাচনতন্ত্র উভয় ক্ষেত্রেই তাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৩. ফোলা
আপনি কি জানেন যে আপনার জিহ্বা ফুলে যাওয়া আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে? এই সমস্যা জিহ্বায় পুষ্টি এবং অক্সিজেনের অপর্যাপ্ত সরবরাহ নির্দেশ করে, যার ফলে এটি ফোলা দেখায়। বিটরুট-আমলকির রস পান করলে জিভের ফোলা উপশম হয়। বিটরুট এবং আমলকি একসঙ্গে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এবং আয়রনের মাত্রা পূরণ করার শরীরের ক্ষমতাকে উন্নত করে।
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
৪. নীল-বেগুনি রঙ
আপনার জিহ্বা হঠাৎ নীল-বেগুনি রঙে পরিণত হওয়ার জন্য চিন্তিত? এটি শরীরের রক্তের স্থবিরতা এবং দুর্বল সঞ্চালন নির্দেশ করতে পারে। এটি দুর্বল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি এবং ভিটামিন বি২ এর অভাবের কারণেও হতে পারে। এক্ষেত্রে জিরা, ধনিয়া এবং মৌরি দিয়ে তৈরি চা পান করতে পারেন। এই চা রক্তনালীতে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, রক্তের স্থবিরতা প্রতিরোধ করে এবং টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন:
শীতে মুলা কেন খাবেন?