যৌন হয়রানি অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বরখাস্ত

রংপুর প্রতিনিধি
০৪ আগস্ট ২০২৫, ২২:০১
শেয়ার :
যৌন হয়রানি অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বরখাস্ত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি অভিযোগে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শওকাত আলীর নির্দেশক্রমে রেজিস্ট্রার হারুন অর রশিদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। আজ সোমবার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যৌন হয়রানির অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তার বিভাগের একজন নারী শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ১১৩তম সভার সিদ্ধান্তক্রমে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথমে ঐ শিক্ষককে ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে এক বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এমন তথ্য জানাজানি হলে ঐ বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে উপাচার্যের কাছে ওই শিক্ষকের বহিস্কার দাবি করেন। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ কয়েকবার সময় নিয়েও ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ২ আগস্ট থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের হুমকি দিতে থাকেন। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ঐ শিক্ষককে বহিস্কারের খবর জানানো হয়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একই অভিযোগে অভিযুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তানজিউল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে প্রশাসন এখনো কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদদে ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন অভিযুক্ত সেই শিক্ষক।

জানা গেছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ড. তানজিউল ইসলামের বিরুদ্ধেও মার্ক টেম্পারিং, যৌন হয়রানি ও অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা না হওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।

অনেকেই বলছেন, এই শিক্ষক বিএনপিপন্থী,বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও উপাচার্যের সঙ্গে সখ্যতাকে কাজে লাগিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করেছেন।

ড.তানজিউল ইসলাম জীবনের বিপক্ষে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য একাউন্টিং বিভাগের শিক্ষক আমির বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটি গঠন হওয়ার ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন কবে এটি প্রকাশ করবে এটা উপাচার্য জানেন। আমরা জানি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো শওকত আলী বলেন,‘আমরা একটা রিপোর্ট প্রকাশ করেছি। সিন্ডিকেট মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করেছি।’

একই অভিযোগ অভিযুক্ত তানজিউল ইসলাম জীবন এখনো কেনো বহাল রয়েছে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,‘আমরা সামনের সিন্ডিকেট মিটিং এটা তুলব। তারপর সিদ্ধান্ত নিব। কারণ এসব বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।’