ঢামেকে লাশ নিয়ে টানাটানি-বাকবিতণ্ডা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ঘটে এক মর্মস্পর্শী ঘটনা। সন্তান প্রসব পরবর্তী জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন আবেদা খাতুন নামের এক নারী। তার মরদেহ নিয়েই বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র বাকবিতণ্ডা ও টানাপোড়েন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আবেদার বাবার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায়। আর শ্বশুরবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। শুক্রবার তিনি সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু নবজাতকটি জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায়। এরপর ওই নারীর প্রসব পরবর্তী জটিলতার কারণে চিকিৎসকরা নরসিংদী থেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
মৃত্যুর পর মরদেহ ঘিরে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। লাশ কোথায় যাবে? বাবার বাড়ি, নাকি শ্বশুরবাড়ি?
প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে মৃত নারীর ননদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমার বাবা বলেছে লাশ আমাদের বাড়ি যাবে। ওনার কথার সম্মান রাখতেই হবে।’
অন্যদিকে, ওই নারীর বাবা মোবারক আলী কাতর কণ্ঠে বলেন, ‘আমার মেয়ে মারা গেছে। অন্তত লাশটা আমাদের দিক। মেয়ের কবরটা আমাদের চোখের সামনে থাকুক।’
তবে মৃত আবেদার ননদের স্বামী রাজে মিঞার ভাষ্য, ‘বিয়ের পর মেয়ের পরিবার লাশ দাবি করতে পারে না। আমাদের গ্রামের মানুষ নদী পার হয়ে দূরের গ্রামে জানাজা পড়তে যেতে পারবে না।’
আরও পড়ুন:
মৌচাকের গোল্ডেন প্লাজায় অগ্নিকাণ্ড
একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয়, মরদেহ প্রথমে শ্বশুরবাড়িতে নেওয়া হবে। সেখানে গোসল ও জানাজা শেষে যাবে বাবার বাড়িতে দাফনের জন্য। তবে মৃত নারীর পরিবারের সদস্যদের শঙ্কা লাশ যদি শ্বশুরবাড়ি যায়, তাহলে হয়তো তাদের আর দেওয়া হবে না।