অ্যাপলের নতুন অপারেটিং সিস্টেমে যা যা থাকছে
আইওএস ২৬
অ্যাপল তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ২৬ প্রকাশ করেছে, যা এককথায় বলতে গেলে একটি গেম-চেঞ্জিং আপডেট। এটি শুধু ফোনের ভিজ্যুয়াল ডিজাইনই বদলায়নি, বরং অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-এর মাধ্যমে আইফোনকে আরও স্মার্ট, ব্যক্তিগত এবং কার্যকর করে তুলেছে। চলুন জেনে নিই আইওএস ২৬-এর প্রধান ফিচারগুলো :
লিকুইড গ্লাস ডিজাইন : চোখ ধাঁধানো নতুন ইন্টারফেস
আইওএস ২৬ নিয়ে এসেছে লিকুইড গ্লাস নামের এক নতুন ডিজাইন সিস্টেম। এটি এমন এক ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরি করে, যা মনে হয় ফোনের স্ক্রিন যেন তরল কাচে মোড়ানো। আইকন ও উইজেটগুলো স্বচ্ছ, আলোক প্রতিফলনযুক্ত এবং পরিবেশ অনুযায়ী পরিবর্তনশীল। লক স্ক্রিন ও হোম স্ক্রিন-এ টাইম ও ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে রঙ বা ভিজ্যুয়াল পরিবর্তন হয়।
অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ও ভিজ্যুয়াল ইন্টেলিজেন্স : আইওএস ২৬ প্রথমবারের মতো অ্যাপল-এর নিজস্ব এআই সিস্টেম যুক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে :
অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স : ফোনেই চলা এআই যা আপনার মেসেজ, ছবি, ডকুমেন্ট, ই-মেইল ইত্যাদি বুঝে কাজ করে। ই-মেইল ও মেসেজের সংক্ষিপ্তসার বানানো, লেখার স্টাইল ঠিক করা বা উত্তর সাজানো সম্ভব।
ভিজ্যুয়াল ইন্টেলিজেন্স : আপনি স্ক্রিনে যা দেখছেন, যেমন- ছবি, স্ক্রিনশট বা মেসেজ, সেখান থেকে এআই তথ্য চিনে নিতে পারে। যেমন- ছবি থেকে ইভেন্ট খুঁজে ক্যালেন্ডার-এ যোগ করতে পারবে বা নাম্বার থেকে সরাসরি কল দেওয়া যাবে।
লাইভ ট্রান্সলেশন : কল করার সময়ই রিয়েল-টাইম অনুবাদ করবে। এতে করে আপনি অন্য ভাষাভাষীদের সঙ্গেও অনায়াসে কথা বলতে পারবেন।
মেসেজেস এবং ফোন অ্যাপে নতুন বৈশিষ্ট্য : গ্রুপ চ্যাট-এ এখন ভোটিং পোল তৈরি করা যায়। চ্যাটের ব্যাকগ্রাউন্ড কাস্টমাইজ করা যায়। টাইপিং ইন্ডিকেটর এবং স্পাম ফিল্টারও যোগ হয়েছে।
ফোন অ্যাপে কল স্ক্রিনিং ও হোল্ড অ্যাসিস্ট : অজানা কলারদের উদ্দেশ্য জেনে নেওয়ার ব্যবস্থা। ফোন ধরার সময় কলার বলবে সে কেন কল করছে। ফোন হোল্ডে থাকলে এআই নিজেই ট্র্যাক করে কবে কথা বলা সম্ভব।
অ্যাপল ম্যাপস, ওয়ালেট, মিউজিক ও গেম-এ নতুনত্ব : এখন আপনার যাতায়াতের রুট মনে রাখে। ট্রাফিক ডিলে বা নির্দিষ্ট গন্তব্যের আগেই সতর্ক করে দেয়।
অ্যাপল ওয়ালেট : ডিজিটাল আইডি সাপোর্ট। ফ্লাইট বোর্ডিং পাস আরও স্মার্ট। ব্যাগ ট্র্যাকিং অপশনও আছে।
আরও পড়ুন:
যে গ্রহে হয় বালুবৃষ্টি
অ্যাপল মিউজিক : গান চলাকালে লিরিক্স-এর অনুবাদ ও উচ্চারণে সহায়তা করবে। অটোমিক্স ফিচার যা গানগুলোকে ডিজে-র মতো মিক্স করার সুযোগ থাকতে পারে।
অন্যান্য আপডেট
অলওয়েজ-অন ডিসপ্লে (এওডি) : ওয়ালপেপার ব্লার করার সুবিধা, সময় ও নোটিফিকেশন সহজে কন্ট্রোল করা যায়।
ভয়েস ডিকটেশন : কঠিন শব্দ বললে স্পেলিং বলে দেয়।
ওয়াই-ফাই অ্যাওয়ার : আশপাশের ডিভাইসকে কিউআর কোড ছাড়াই সংযুক্ত করা যায়।
আরও পড়ুন:
এআই টিম ভেঙে দিল মেটা
ক্যাপটিভ অ্যাসিস্ট : পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারে স্বয়ংক্রিয় লগইন।
ই-সিম অ্যান্ড্রয়েড ট্রান্সফার : এবার আইফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েড-এ সহজেই ই-সিম ট্রান্সফার করা যাবে।
স্ক্রিনশটস ও স্ক্রিন রেকর্ডিং : এইচডিআর স্ক্রিনশট, ফুল স্ক্রিন প্রিভিউ ও নতুন এডিটিং টুল যুক্ত হবে।
আইওএস ২৬ নিঃসন্দেহে আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য এক বিপ্লব। আপনি যদি আইফোন ১৫ প্রো, প্রো ম্যাক্স অথবা পরবর্তী কোনো মডেল ব্যবহার করেন, তবে এই আপডেটের সব সুবিধাই পাবেন।