হালুয়াঘাট ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান’র প্রথম পরিচালক মিঠুন
ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার রাংরাপাড়ায় অবস্থিত ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান’র পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন কবি ও সংস্কৃতিকর্মী মিঠুন রাকসাম।
গত ১০ জুলাই তাঁকে নিয়োগ দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলম-এর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ এর ধারা- ১১(২) অনুযায়ী মিঠুন রাকসামকে অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে ০২ (দুই) বছর মেয়াদে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ-এর পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। তা এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।’
আরও পড়ুন:
ঢাকার রিকশাচিত্র পেল ইউনেসকোর স্বীকৃতি
মিঠুন রাকসাম গারো জাতিগোষ্ঠীর একজন কবি ও লেখক। তিনি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার দুধনই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মিঠুন রাকসাম-এর গারো জাতিসত্তার খাদ্য ও পানীয় নিয়ে গবেষণা গ্রন্থ- ‘মান্দি জাতির পানীয় ও খাদ্য বৈচিত্র্য’ প্রকাশিত হয়েছে। মিঠুন রাকসাম-এর প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে ‘মন্ত্রধ্বনি’ নামে। সর্বশেষ কবিতার বই ‘খেয়েই মরবো- প্রকাশিত হয় ২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলায়। এই পর্যন্ত মিঠুন রাকসামের প্রকাশিত বই ১২টি। তারমধ্যে কবিতা গ্রন্থ ৮টি, গল্প ১টি, গবেষণা গ্রন্থ ১টি এবং সম্পাদিত গ্রন্থ ২টি।
মিঠুন রাকসাম সংস্কৃতিকর্মী এবং সংগঠক হিসেবে নিজ উদ্যোগে প্রথম ২০০৮ সালে এবং ধারাবাহিকভাবে ২০২১, ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে কালাচাঁদপুরের শিশু মালঞ্চ স্কুল প্রাঙ্গণে ১ মাসব্যাপী ‘গারো বইমেলা’ আয়োজন করে আসছেন।