সুন্দর ত্বকের মূল মন্ত্র টোনিং
রোদ- বৃষ্টির এই সময়টায় ভ্যাপসা একটা গরম থাকে। আর এই সময়টায় ত্বকে তেল চিটচিটে ভাব বেশ বিরক্তিকর। তার ওপর ঘামে ভেজা ত্বকে ধুলা-ময়লাও জমে খুব সহজে। ফলে ত্বক হয়ে পড়ে খসখসে, নিস্তেজ ও অনুজ্জ্বল। আর এসব সমস্যার সহজ সমাধান হচ্ছে স্কিন টোনিং।
আপনার ত্বকে টোনিং কেন জরুরি এবং কীভাবে তা করবেন, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ ও বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি স্যালনের স্বত্বাধিকারী শারমিন কচি। চলুন জেনে নিই-
কেন করবেন স্কিন টোনিং
স্কিন টোনিংয়ের ফলে ত্বকের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফলে ত্বক থাকে সজীব, উজ্জ্বল ও টানটান। এ ছাড়া টোনিং ত্বকের পুষ্টি জোগানের পাশাপাশি লোমকূপ বন্ধ রেখে ত্বকের ময়েশ্চারাইজার বজায় রাখে। তাই স্কিন টোনিং অত্যন্ত জরুরি।
সাধারণত চারটি ধাপে ত্বকের পরিচর্যা করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপ হচ্ছে ক্লিনজিং। আর এর পরের ধাপ অর্থাৎ ত্বক পরিষ্কার করার পরের ধাপই হচ্ছে টোনিং। টোনিংয়ের সাহায্যে ত্বকের এই ধুলা-ময়লা সঠিকভাবে পরিষ্কার হয়। টোনিং সবচেয়ে বেশি জরুরি তৈলাক্ত ত্বকে। কারণ গরমের সময় তৈলাক্ত ত্বকের অয়েল গ্ল্যান্ডগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। এ কারণে লোমকূপের মুখও বড় থাকে। ফলে তৈলাক্ত ত্বকে ধুলা-ময়লা জমে বেশি। এই ধরনের ত্বকে টোনার খুব জরুরি। আর না হোক ঠাণ্ডা গোলাপ জলও ত্বক ফ্রেশ রাখে।
# সারাদিনের কাজের শেষে হাত-মুখ ধোয়ার পর টোনার ত্বক সজীব রাখে। ত্বকের নিস্তেজ ও ক্লান্তিভাব দূর হয়।
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
# তুলার প্যাডে বা বলে টোনার লাগিয়ে মুখটা আলতোভাবে মুছে নিন। বিশেষ করে গালে, গলায় ও ঘাড়ে ভালো করে লাগাবেন।
# তৈলাক্ত ত্বকে নাকের দুপাশে থুতনি ও কপালে অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন ভালো করে লাগাবেন।
# উল্টাপাল্টা ঘষে টোনার লাগাবেন না। গাল থেকে তুলার বলটা ঘষে কপালের দিকে শেষ করবেন।
# কপালের মাঝখান থেকে ও থুতনিতে সার্কুলার মুভমেন্টে টোনার লাগান।
# চোখের চারপাশে টোনার না লাগানোই ভালো। তবে লাগাতে চাইলে হালকাভাবে ঘষে লাগান।
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
ঘরে তৈরি টোনার
# শসার রস সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক টোনার। এটি অ্যাসট্রিনজেন্টের কাজ করে বলে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শসার রসে গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে, গলায়, ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
# আপেলও খুব ভালো টোনার। মুখ ধোয়ার পর আপেল চটকে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। তার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
# পাকা কলা চটকে সারা মুখে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে নিন। এটা এপ্রিকট পাল্প ন্যাচারাল টোনারের কাজ করে। এতে ত্বকের কালো ভাবও দূর হয়।
# পাকা টমেটোর রস তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী। এটা শুধু ত্বকের ধুলা-ময়লাই পরিষ্কার করে না, কালো ছোপ দাগও দূর করে।
আরও কিছু টিপস
আরও পড়ুন:
শীতে মুলা কেন খাবেন?
# খুব বেশি কড়া কেমিক্যাল দেওয়া টোনার ব্যবহার না করাই ভালো। তার চেয়ে বরং ঠাণ্ডা পানি বা গোলাপ জলই ভালো টোনারের কাজ করে।
# ছোট ছোট তুলার বল তৈরি করে পরিষ্কার বক্সে ভরে রাখুন। ব্যবহার করার সময় খোঁজাখুঁজির দরকার হবে না।
# ত্বক পরিষ্কার করার আগে তুলার বল টোনারে ভিজিয়ে রাখুন। মুখ ধোয়ার পর বলটা তুলে ত্বকে লাগান।
# ত্বক টোনিং করার পর ত্বকে সামান্য ময়েশ্চারাইজার লাগান। দেখবেন ত্বক কেমন উজ্জ্বল ও মসৃণ হয়।