জুয়েল স্মরণে ‘মহাকালের এক বছর’

বিনোদন প্রতিবেদক
৩০ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৫
শেয়ার :
জুয়েল স্মরণে ‘মহাকালের এক বছর’

১৩ বছর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সংগীতশিল্পী ও নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। গত বছর এদিনে (৩০ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শিল্পীর স্মরণে এবার আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘মহাকালের এক বছর’।

আগামী ১ আগস্ট রাজধানীর বেইলি রোডের মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই আয়োজন। গান-গল্পে জুয়েলকে স্মরণ করবেন তার বন্ধু ও সহকর্মীরা। থাকবে অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী এবং দোয়ার আয়োজনও।

জুয়েলের ভাই মহিবুর রেজা রুবেল বলেন, ‘এটি কোনো প্রচলিত স্মরণসভা নয়। এখানে আমরা জুয়েলের গান শুনবো নীরবে, কথা বলব তাকে নিয়ে, তুলে ধরব তার কাজ ও জীবন-যাপন।’

আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন সংগীত ঐক্য, বাংলাদেশ’র নেতৃবৃন্দ, কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার, আঁখি আলমগীর, আলিফ আলাউদ্দিনসহ সংগীতাঙ্গনের অনেকেই।

বলা দরকার, ‘সেদিনের এক বিকেলে’খ্যাত এই শিল্পী এক যুগেরও বেশি সময় ধরে লড়েছেন ক্যানসারের বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে তার লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুস ও হাড়ে।

৯০ দশকের অডিও ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম চমক ছিলেন জুয়েল। ১৯৯৩ সালে আইয়ুব বাচ্চুর সুরে তার প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশের পরই শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে নেন। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) ও ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)।

অসংখ্য সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামেও কণ্ঠ দিয়েছেন জুয়েল। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিত হলেও জুয়েলের আরেকটি বড় পরিচয় ছিল- টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে। পাশাপাশি দক্ষ সঞ্চালক হিসেবেও তিনি প্রশংসিত ছিলেন।