৩৬ জুলাই’২৪
স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার হরণ
দাসত্বের নাগপাশে আবদ্ধ দেশ আমার।
একুশের সেই ভাষা সৈনিক রফিক শফিক সালাম বরকত
প্রতিবাদী কতগুলো উজ্জ্বল নক্ষত্র, ভাষার জন্য করেছে জীবন দান।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ হায়েনার বিষদাঁত বিষাক্ত বায়ু মেশিন গানের সর্বনাশা শব্দ স্তব্ধ করতে পারেনি লাখ শহীদের সেই মুক্তি সংগ্রাম ।
আরও পড়ুন:
ঢাকার রিকশাচিত্র পেল ইউনেসকোর স্বীকৃতি
পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত, শত শহীদের রক্তে কেনা
একটি লাল সুর্য আমার প্রিয় স্বাধীনতা! আমার বাংলাদেশ।
৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী গণ আন্দোলন উত্তাল রাজপথ শহীদ নুর হোসেন,
ডাঃ মিলন এর আত্মত্যাগ, নয় বছরের দখলদার এর পতন রোধ করতে পারেনি পেটোয়া বাহিনী।
সদ্য রক্তস্নাত ঢাকার রাজপথ ৩৬ জুলাই’২৪ এর স্বৈরাচার, ক্ষমতা লোভী রক্ত পিপাসু নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র জনতার ন্যায্য আন্দোলন দমনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে শতশত নিরীহ ছাত্র-জনতাকে ।
মনে পড়ে ৩৬ জুলাইয়ের প্রথম শহীদ আবু সাইদ সিনা টান টান করে বুক পেতে দিয়েছিল। হায়ানাদের একঝাঁক বুলেট ঝাঝরা করে আমার ভাইয়ের প্রাণ পাখিটা ছিনিয়ে নিল। আমি বিচার চাই, বিচার চাই, খুনির ন্যায্য বিচার চাই।
পানি লাগবে কারো পানি। পানি লাগবে ভাই পানি। অস্থির কণ্ঠ আর শুনতে পাবোনা জানি কোন দিন। মায়ের বকুনি আর শুনতে হবেনা কখনো জানি।
চাঁনখার পুলের শহীদ আনাস মাকে বলেছিল, মা আমি মিছিলে যাচ্ছি, যদি ফিরে না আসি কষ্ট পেও না মা, আমার দেশের বৈষম্য দূর হবে অবশ্যই একদিন। মেধাবী শহীদ ইয়মীন সাভারে সাঁজোয়া যান থেকে যাকে টেনে হিঁচড়ে ফেলে দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এমনি শত মায়ের বুক খালি হল, কত তরতাজা প্রাণ গেল।
আরও পড়ুন:
জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে বই
রক্ত পিপাসু ফ্যাসিস্ট হায়ানার কালো হাত ছিনিয়ে নিয়েছে কত শত বীর সন্তান। ৩৬ জুলাইয়ে গর্জে উঠেছিল লাখ প্রাণ নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে, এক বিন্দুতে। সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে রুখতে পারেনি। আজও বাতাসে ভাসে লাশের গন্ধ । কিসের বিজয়! কাদের নগ্ন উল্লাস! কী পেয়েছে স্বজন হারা, দেশটা স্বাধীন করল যারা! তবুও বিজয় হাসে, কবির কবিতায় - নতুন বাংলাদেশে...