জীবন যাপনে সু-অভ্যাস
সুস্থতা মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া। কিন্তু অনেক সময় আমরা নিজেদের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ি। সুস্থ ও সুন্দর থাকতে জীবন যাপনে সু-অভ্যাসের চর্চা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের লাইফস্টাইলে এমন কিছু অভ্যাস আছে যা আমাদের সুস্থতা ব্যাহত করে। তাই খারাপ অভ্যাসগুলো বদলে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন নিয়ে আসতে কী করবেন চলুন জেনে নেই-
সুস্থ থাকতে হলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দৈনন্দিন রুটিন, খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা, ঘুম ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রয়েছে। স্ট্রেস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
বিশেষজ্ঞের মতে, মানসিক চাপ, অপর্যাপ্ত ঘুম বা অনিদ্রা, অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা, অপরিমিত বা অতিরিক্ত শরীরচর্চা, অপুষ্টি ইত্যাদি বিভিন্ন কারণ শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের জন্ম দিতে পারে, যা পরোক্ষভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত করে। তাই বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখতে দৈনন্দিন অভ্যাসগুলোর প্রতি নজর দেওয়া উচিত। যেমন-
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
যতটা সম্ভব স্ট্রেসমুক্ত থাকতে হবে। দুশ্চিন্তা এড়াতে সৃজনশীল কাজে মনোযোগী হন। পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে গল্প করুন, ঘুরতে যান, কোয়ালিটি টাইম কাটান।
সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুব দরকার। রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এমন কিছু থেকে দূরে থাকুন। যেমন মোবাইল ফোন, রাতে চা-কফি খাওয়া ইত্যাদি। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে চেষ্টা করুন। অনিদ্রার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
অপুষ্টি যেমন সুস্বাস্থ্যের জন্য বাধা সৃষ্টি করে, তেমনি অতিরিক্ত খাওয়াও শরীরের জন্য ভালো নয়। একটা কথা মনে রাখতে হবে, বয়সভেদে খাদ্যতালিকা প্রস্তুত করতে হবে। বাড়ন্ত শরীরের খাদ্যচাহিদা আর একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের খাদ্যচাহিদা এক নয়। তবে সবার জন্য ব্যালেন্স ডায়েট দরকার। দৈনন্দিন ডায়েটে সব ধরনের খাদ্যোপাদানই রাখার চেষ্টা করুন। শুধু কার কতটুকু প্রয়োজন সেই অনুযায়ী রাখুন। খাবার খান সঠিক সময়ে। খুব বেশি রাতে খাবার খাওয়া ঠিক নয়। রাত ৯টার মধ্যেই রাতের খাবার শেষ করা উচিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ, ইয়োগা বা হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে যায়। শরীরে অক্সিজেন চলাচল বাড়ে। মন থাকে ফুরফুরে। আর মন ভালো থাকলে কর্মস্পৃহাও বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।
আরও পড়ুন:
শীতে মুলা কেন খাবেন?