সোহাগ হত্যা মামলায় আরও ৩ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আদালত প্রতিবেদক
২৩ জুলাই ২০২৫, ২১:০৯
শেয়ার :
সোহাগ হত্যা মামলায় আরও ৩ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগ ওরফে লাল চাঁদ হত্যা মামলায় আরও ৩ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  এ ছাড়া তদন্তে এ মামলায় নাম আসা দুই আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান দুই আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন এবং তিন আসামির স্বীকারোক্তি রেকডের আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান শুনানি শেষে দুই জনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ তিন আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর এ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন তিনি।

জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন তারেক রহমান রবিন, নান্নু কাজী ও রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু। আর রিমান্ডে যাওয়া দুই আসামি হলেন মো. পারভেজ ও মো. জহিরুল ইসলাম।

এ নিয়ে মামলাটিতে আট আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তি দেওয়া অপর পাঁচজন হলেন সজিব ব্যাপারী, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান মহিন ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ। আসামি তারেক রহমান রবিন একই ঘটনার অস্ত্র মামলাতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর আসামি রাজিব ব্যাপারী রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় লাল চাঁদকে। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ। ওই ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, মামলার এজাহার, নিহত লাল চাঁদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বর্ণনায় হত্যাকাণ্ডের এমন বিবরণ উঠে এসেছে।

ওই ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় গত ১০ জুলাই নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫-২০ জনকে।

নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে চার নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করে আসছিলেন।