বর্ষাকালে বাড়ে চোখের সংক্রমণ
বর্ষাকাল মানেই প্রকৃতির শান্তিময় সৌন্দর্য, কিন্তু এই ঋতু শরীরের জন্য নিয়ে আসে কিছু বাড়তি বিপদও। বিশেষ করে চোখ-শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এই অঙ্গটি বর্ষায় সংক্রমণের শিকার হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। বাতাসে আদ্রতা, ধুলাবালি, জমে থাকা দূষিত পানি-সব মিলিয়ে বর্ষা হতে পারে বিপদজনক। তাই ভারতীয় চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: ‘নীরজ সন্দুজা’ বলেন, ‘বর্ষাকাল স্বস্তি দিলেও বর্ধিত আর্দ্রতা, অ্যালার্জেন এবং দূষিত পানির কারণে চোখে বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ দেখা দেয়। যার ফলে চোখে ব্যথা, চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, জ্বালাপোড়া করা সহ কনজাংটিভাইটিসের মতো চোখের সমস্যার প্রবণতা বেড়ে যায়।‘
বর্ষায় চোখের জ্বালাপোড়া, সংক্রমণসহ নানান সমস্যা সমাধানের জন্য ডা: নীরজ সন্দুজা প্রয়োজনীয় ৩টি চোখের যত্নের কথা বলেছেন:
১. শুষ্ক চোখ
বর্ষাকালে ঘরে বেশি সময় থাকা, এসির ব্যবহার, বাতাসে ধুলাবালির কারণে চোখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ফলে চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া, জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
করনীয়: প্রিজারভেটিভ-মুক্ত আই ড্রপ ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
২. স্টাই বা ফোঁড়া
আর্দ্রতার ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার কারণে চোখের পাতার গোড়ায় সংক্রমণের কারণে ছোট ফোঁড়া হয়।যার ফলে চোখে ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়াসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়।
করনীয়: চোখের পাতা হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার রাখুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৩. কনজাংটিভাইটিস:
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
বর্ষাকালে কনজাংটিভাইটিস অত্যন্ত সংক্রামক একটি ভাইরাস। যার ফলে লালচে ভাব, পানি পরা, চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়।
করনীয়: চোখ স্পর্শ না করা, বালিশের কভার বা নিজের জিনিসপত্র কারো সাথে ভাগাভাগি না করা। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে রাখা এবং খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
পরামর্শ:
বর্ষাকালে চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভালো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অনেক সহায়ক হতে পারে। ধুলাবালি ও অ্যালার্জি থেকে রক্ষা পেতে চশমা ব্যবহার করুন এবং চোখ ভালো রাখতে ভিটামিন এ ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে ভুলবেন না। সামান্যতম সমস্যা দেখা দিলেই, চিকিৎসার জন্য একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যান।
আরও পড়ুন:
শীতে মুলা কেন খাবেন?