সন্তানের মৃত্যু যা শিখিয়েছে ইরফান সাজ্জাদকে
ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ ইরফান সাজ্জাদ। জমজ সন্তানের বাবা হওয়ার কথা ছিল এই অভিনেতা। কিন্তু ২০২৩ সালের ৫ মে অনাগত দুই সন্তানকেই হারিয়েছেন তিনি। দুই সন্তানই পৃথিবীর আলো দেখার আগে মারা যায়। ওদের দু’জনের কবরই দেশে না।
ইরফান সাজ্জাদের ভাষ্য, ‘প্রিয়-মায়াদের এমন একটা দেশে রেখে এসেছি চাইলেও দেখতে পারি না’। এই প্রিয় আর মায়া হলো তার জমজ সন্তানের নাম।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘আমার সন্তান প্রিয় আর মায়ার কবরটা চেন্নাইতে। যার ফলে বার বার ভারতে যাওয়া হয়। যখনই সময়-সুযোগ হয় ভারতে যাই, গিয়ে ওদের কবরটা দেখে আসি। এমনও মাঝে মাঝে হয়, যারা ভারতের চেন্নাইতে অবস্থান করেন তাদের খোঁজ-খবর আমি রাখি। তাদের সঙ্গে যদি যোগাযোগ করা যায়, তাহলে হয়তো গিয়ে ভিডিও কলে ওদের কবরটা একটু দেখাতে বলি।’
আরও পড়ুন:
স্ত্রীর কবরের পাশে পরীর নানা সমাহিত
প্রথম দুই সন্তানকে হারানোর পরে আবার বাবা হয়েছেন ইরফান সাজ্জাদ। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ পরবর্তীতে আমাদেরকে আজলানকে দিয়েছেন। ওকে দেখেই সব কিছু ভুলে থাকি। আমি লাইফের আলাদা একটা মানে খুঁজে পেয়েছি আমি। লাইফের একটি ইনসিডেন্ট অনেক ডোর খুলে দেয়। অনেক কিছু চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। প্রায়োরিটি নতুন করে সেট করার সুযোগ তৈরি করে দেবে। এই ঘটনার পরে আমি আমার লাইফে নতুন করে প্রায়োরিটি সেট করার সুযোগ পেয়েছিলাম।’
বলা দরকার, ইরফান সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন সাজ্জাদ প্রায় দেড় বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়মিত তার চিকিৎসা চলছিল। এর মধ্যেই জানতে পারেন শারমিন মা হতে চলেছেন। হঠাৎ একদিন সকালে শারমিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। প্রয়োজন হয় বড় সার্জারির। ফলে চিকিৎসকেরা ইরফান সাজ্জাদের অনাগত সন্তানদের আর পৃথিবীর আলো দেখাতে পারেননি। শারমিনের শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে সেই মুহূর্তে সার্জারি করা ছাড়া আর কোনো উপায় চিকিৎসকের হাতে ছিল না। এটি ২০২৩ সালের কথা।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি