শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের

অনলাইন ডেস্ক
২৪ জুন ২০২৫, ১৯:১৫
শেয়ার :
   শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের নির্দেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচার শুরু হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। আগামী ১ জুলাই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে। এ জন্য তার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দিতে রাষ্ট্রকে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ২৪টি মামলার মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলাকেই মনে করা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মামলার অপর দুই আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তাদের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন দমনে ছাত্র-জনতাকে হত্যায় উসকানি, মারণাস্ত্রের ব্যবহারসহ পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামিদের মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। আর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছেন। তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। হাজির না হওয়ায়, তাদের পক্ষে রাষ্ট্রকে আইনজীবী নিয়োগের আদেশ দিলেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন। পেপার পাবলিকেশন হয়েছে এবং সেটা নথিতে যুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী দিন অভিযোগ গঠনের দিন। আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনাল অর্ডার দিয়েছেন, ডিফেন্স নিয়োগ করা হবে। এরপর অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে।’

শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন চিফ প্রসিকিউটরের আইনি পরামর্শক ও ব্রিটিশ আইনজীবী টোবি ক্যাডম্যান। তিনি বলেন, ‘আসামির পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের পূর্ণ এখতিয়ার ট্রাইব্যুনালের। দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কোন আইনজীবীকে নিয়োগ দেওয়া যায়, সেটা ট্রাইব্যুনালেরই বিবেচ্য বিষয়। এখানে প্রসিকিউশনের কোনো দায়িত্ব নেই।’

এদিকে, আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের মামলাটিও ট্রাইব্যুনালে ওঠে। এ মামলায় হাজির করা হয় আরেক আসামি সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে। পরে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আরও দুই মাস সময় বাড়িয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।