জবিতে বিশ্বজিতের নামে হল রাখার আহ্বান রাশেদ খানের
নিজেকে হিন্দু দাবি করা স্বত্ত্বেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সামনে বিশ্বজিতকে শিবিরআখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। আপনারা চাইলে ইতিহাস ধারণ করে রাখার জন্য আপনাদের আন্দোলনের অংশ করার জন্য জবির নতুন একটি হল বিশ্বজিতের নামে রাখতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান।
আজ শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন।
রাশেদ খান বলেন, ‘জবির শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক আন্দোলন করেছে। আমরা রাজনৈতিক নেতারা সে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছি। যৌক্তিক আন্দোলনকে যেন বিতর্কিত করতে না পারে সেটি আমরা চেয়েছি। আপনাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। আপনারা চাইলে সেই সঙ্গে শহীদ দর্জি বিশ্বজিতকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান কোনো পরিকল্পিত আন্দোলন ছিল না, বরং এটি ছিল ছাত্র, শ্রমজীবী, পেশাজীবীসহ সর্বস্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধ। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দুর্বল বা ব্যর্থ বলার সুযোগ নেই। বরং জুলাইয়ের আন্দোলনে ৯০ শতাংশ অবদান ছিল রাজনীতিবিদদের।’
সরকারের কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন করলেই হবে না, সরকার ব্যবস্থাও সংস্কার করতে হবে। এটাই রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার। এটাই জুলাই শহীদদের প্রকৃত দাবি।’
ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, ‘গেস্ট রুমভিত্তিক, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির রাজনীতি এখন আর মেনে নিচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। জ্ঞানভিত্তিক, যুক্তিনির্ভর রাজনীতি করতে হবে। শিক্ষার্থীদের উপযোগী রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’
গণমাধ্যমের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাবেক তথ্য উপদেষ্টা গণমাধ্যমের কোনো সংস্কার করতে পারেননি। তিনি গণঅভ্যুত্থানের নায়ক। কিন্তু এখনো পর্যন্ত গণমাধ্যমে সংস্কারের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। হাসিনা চলে গেছে কিন্তু তার দোসররা এখনো বহাল তবিয়তে।’
জবিসাসের সভাপতি ইমরান হেসাইনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, গণ অধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির জেনেরাল সেক্রেটারি মু. নিজামুল হক নাঈম, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেত্ববৃন্দ।
সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতাকর্মীরা।