করিডোরের নামে ‘খাল কেটে কুমির’ আনবেন না: নুর

অনলাইন ডেস্ক
১৭ মে ২০২৫, ২১:২৪
শেয়ার :
করিডোরের নামে ‘খাল কেটে কুমির’ আনবেন না: নুর

মানবিক করিডোরের নামে ‘খাল কেটে কুমির’ না আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ শনিবার বিকেলে রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৯ মাসে সরকারের কিছু কর্মকাণ্ডে আমরা সরকারের প্রতি আস্থা হারাচ্ছি উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘বাংলাদেশের একমাত্র কৌশলগত বন্দর বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। করিডোরের নামে বিদেশি ঘাঁটি বানাতে খাল কেটে কুমির আনা হচ্ছে। আমরা সরকারকে করিডোর প্রদান ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আহ্বান জানাই।’

দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা। জটিল রোগে সকলকে ঢাকা মেডিকেল বা পিজিতে ছুঁটতে হয়। ঢাকা মেডিকেলে মানুষ মানবেতর চিকিৎসা নেয়, সিট পায় না। অথচ সরকার ১০ বিভাগে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ১০টা আধুনিক হাসপাতাল করলে দেশের মানুষ মানসম্মত চিকিৎসা পেত। রাজনৈতিক দলের নেতা, ব্যবসায়ী ও আমলারা চিকিৎসা নিতে বিদেশ যায়। আর দেশের মানুষ ধুঁকে ধুঁকে বিনা চিকিৎসা, অপচিকিৎসায় মরে।’

শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নুর আরও বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই। নেই মানসম্মত শিক্ষকও। এই সব বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।’

চাঁদাবাজি বন্ধে নুর বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে রাজনৈতিক দূর্বত্তরা নতুন করে দেশের হাঁটবাজার, সড়ক-পরিবহনে চাঁদাবাজি করছে। এসব চাঁদাবাজ, দখলদার, দুর্বৃত্তদের এখনই সবাই মিলে রুখে দাঁড়াতে হবে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ এভাবে চলতে পারে না। আপনারা চাঁদাবাজদের কোন সুযোগ দিবেন না।’

দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘সংস্কারের নামে মানবিক করিডোর, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দিলে ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের পরিণতি ভোগ করা লাগবে। গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ছাড়া অন্যকাজে বেশি মনোযোগ দিলে ভুল করবেন। ইতোমধ্যে সরকারের উপর জনগণের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। এটাকে আর না বাড়ানোর অনুরোধ করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে জাতীয় ঐক্য ভেঙে ফেলেছেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করে সংকট আর ঘনীভূত করবেন না। আমরা চাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ের মত সবার মাঝে ঐক্য থাকুক।’

মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, ‘৭১ সালের চেতনা বিক্রি করে আওয়ামী লীগ খেয়েছে আর এখন নব্য বিপ্লবীরা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনা বিক্রি শুরু করেছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই জুলাই বিপ্লব কারো বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। জুলাই বিপ্লবকে যারাই বিতর্কিত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’

কদমতলী থানা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক বশির গাজীর সভাপতিত্বে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুজ জাহের, মাহফুজুর রহমান খান, সহ-সভাপতি সৈয়দ ইব্রাহিম রনক, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুবনেতা জাহাঙ্গীর হিরণ, ছাত্র নেতা অর্নব হোসাইন প্রমূখ।