ইউআইটিএস-কিয়ংডং ইউনিভার্সিটি (গ্লোবাল), দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক উপলক্ষে সেমিনার
ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংডং ইউনিভার্সিটি (গ্লোবাল)-এর যৌথ উদ্যোগে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক ঐতিহাসিক সমঝোতা স্মারক উপলক্ষে এই সেমিনারটি ইউআইটিএস-এর রত্নগর্ভা তাহমিনা রহমান মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেডিইউ গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. জন লি এবং কে-গ্লোবাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. নূর আলম। তারা বৈশ্বিক শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক তাদের অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করেন।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন টেকনোলজি , বিজনেস এবং ইংরেজি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের ১০০-এর অধিক শিক্ষার্থী সেমিনারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাদের উদ্দীপনাময় উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরও তাৎপর্যমণ্ডিত করে তোলে এবং বৈশ্বিক শিক্ষার অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করে।
ইউআইটিএস-এর পক্ষে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ কামরুল হাসান এবং ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল -এর পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাফায়েত হোসেন।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি উচ্চশিক্ষা খাতে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বকে প্রতিনিধিত্ব করে, যার আওতায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিনিময়, গ্লোবাল স্টুডেন্ট মোবিলিটি প্রোগ্রাম, স্বল্পমেয়াদী পেশাগত প্রশিক্ষণ এবং যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
সেমিনারে অধ্যাপক ড. জন লি জানান, কেডিইউ গ্লোবাল এই যৌথ সহযোগিতা কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি আরও জানান, বর্তমানে কেডিইউ গ্লোবাল ক্যাম্পাসে বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশের ১,৫০০-এর অধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে, যা একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করে।
ইউআইটিএস-এর শিক্ষার্থীরা কেবলমাত্র বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সহপাঠীদের সঙ্গে অধ্যয়নের সুযোগই নয়, বরং স্যামসাং, হুন্দাই এনার্জি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কোরিয়ান শিল্পপ্রতিষ্ঠান ভ্রমণের সুযোগও পাবেন।
এই সহযোগিতা বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা, আন্তঃসাংস্কৃতিক মিথস্ক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সফলতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় একাডেমিক ভিত্তি তৈরিতে উভয় প্রতিষ্ঠানের অভিন্ন প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।