১৫ বছর পর কবর থেকে ছাত্রদল কর্মীর কঙ্কাল উত্তোলন
খাগড়াছড়ির রামগড়ে ১৫ বছর আগে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ছাত্রদল কর্মী শাহ আলমের কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রামগড় পৌরসভার মাষ্টারপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে তার কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়।
শাহ আলম পৌরসভার গর্জনতলী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালামের ছেলে। তিনি ছাত্রদলের কর্মীর ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত জাহান তুহিন, চিকিৎসক ডা. সৈয়দা সাদ সুলতানা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নিহতের স্বজনরা।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত জাহান তুহিন জানান, নিহতের ঘটনা নিয়ে খাগড়াছড়ি জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে মরদেহের বিভিন্ন অংশ উত্তোলন করে ডিএনএ টেষ্টের জন্যে খাগড়াছড়ি পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই শাহীন কাদের জানান, আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই। কিন্তু বিচারের নামে কোনো নিরাপরাধী যাতে হয়রানির স্বীকার না হয়।
মামলার বাদী ইসমাঈল হোসেন জানান, এতদিন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হুমকি ধামকির কারণে মামলা ও ন্যায় বিচারের পরিবেশ ছিলোনা। এখন আমরা ন্যায় বিচারে আশাবাদি, তাই মামলা করেছি। অপরাধী শনাক্ত করতে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লাশের কংকাল উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২২ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে জুয়েল নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে মারধর করে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। ছাত্রদল নেতা শাহ আলম তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে বাড়ি ফেরার পথে চৌধুরীপাড়া পুরাতন জেল খানার সামনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ফেলে যায়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীর্ঘ ৪ মাস পর ২০০৯ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের