ইউএনও’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মফিজুর রহমানকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। এতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হামলাকারীরা।
আজ রবিবার সকালে উপজেলার কারেন্টের বাজারের বোয়াল চত্বরে সচেতন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদায়ন হওয়া ইউএনও মফিজুর রহমান বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পর্যটন খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাকে দ্রুত বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা থেকে অপসারণ করতে হবে এবং সকল দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে যাওয়ার পথে মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে বিএনপির নেতা ও কর্মীরা বাধা দেয়। এ সময় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে মিছিলকারীদের কয়েকজন আহত হন।
পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে এসে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হামলাকারী বিএনপির নেতাকর্মীরা। ইউএনও’র বিরুদ্ধে মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।
হামলার সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক ক্রিড়া সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোহাগ তালুকদারের হাতে দেশীয় অস্র দেখা যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক ক্রিড়া সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোহাগ তালুকদার বলেন, ‘একজন ইউএনও’র বিরুদ্ধে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা এলাকার ছেলে হিসেবে জানি ইউএনও দুর্নীতি করেন কি না। তারা দূর থেকে এসে কি জানে।’
হাতে দেশীয় অস্র রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘আমরা প্রতিহত করার জন্য আসছি।’
উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আকরাম হোসেন ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর বলেন, ‘আমরা চাই না উপজেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হোক। আমরা উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি।’
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক রাজু আহমেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা বিভিন্ন ছদ্মনামের ব্যানার নিয়ে উপজেলা সদরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। এতে বিএনপি কর্মীরা বাধা দিয়েছে। এসময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে সীমান্তের চোরাচালান শূন্যের কোটায় নিয়ে এসেছি। সম্প্রতি উপজেলা মাল্টিপারপাস সেন্টার লিজ দেওয়া হয়েছে। যিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন তিনি লিজ পেয়েছেন। এ নিয়ে সংক্ষুব্ধ কিছু ব্যক্তি লিজ না পেয়ে নানা মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করে এলাকায় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেছে।’