চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৩৩
শেয়ার :
চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি নেতা কানন শিকদারসহ ছয়জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত কানন শিকদার শুভাঢ্যা ১নং ইউনিট বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আজ শনিবার কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর ব্যবসায়ী মো. সজিব বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে জানা যায়, কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীর নুরুন্নাহার মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডের প্যান্ট ক্লাব নামক একটি তৈরি পোশাকের দোকানের স্বত্বাধিকারী মো. সজিব। তিনি নতুন আরেকটি দোকান নিয়ে সাজানোর কাজ করার সময় কানন শিকদার তার কাছে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সজীব কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নিকট অভিযোগ করলে কানন শিকদার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরে ওই দোকানটি দখল করে নিয়ে এবার এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে ৭ দিনের সময় বেঁধে দেন।

পরবর্তীতে চাঁদা না পেয়ে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি কানন শিকদার ও তার সহযোগী লিখন, আবু বক্কর, ফয়সাল, আলাউদ্দিনসহ ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী নিয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সজীব ও তার বড় ভাই রাজীবকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এ সময় তাদের গলায় থাকা দুটি স্বর্ণের চেইন, একটি মোবাইল ও ক্যাশ বাক্সে থাকা দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।

হামলার ঘটনার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। হামলার সময় কিল-ঘুষিতে সজীবের সামনের দুটি দাঁত ভেঙে যায় এবং তার বড় ভাই রাজিবকে হকিস্টিক ও রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরবর্তীতে তাদেরকে উদ্ধার করে সজীবকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও বড় ভাই রাজিবকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. সজিব জানান, কানন শিকদারের সাথে আমার কোন ব্যবসায়িক বা পারিবারিক বিরোধ নেই। কি কারণে তিনি চাঁদা দাবি করে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করলো তা বুঝতে পারছি না। হামলার ঘটনার পর থেকে জীবনের নিরাপত্তার ভয়ে আমি ও আমার বড় ভাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছি না।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কানন শিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সজীবের বড় ভাই রাজীবের কাছে ব্যবসায়িকভাবে টাকা পাওনা আছি। সেই টাকাই চেয়েছি, কোন চাঁদা চাইনি। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে তাদের দোকানের সামনে একদিন ঝগড়াঝাটি হয়েছিল। তবে এ ঘটনায় চাঁদাবাজির মামলা করে থাকলে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি কোন চাঁদা চাইনি।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজারুল ইসলাম জানান, থানায় মামলা রেকর্ড করার পর আসামি গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।