৪ সন্তান নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই চান নিহত জসিমের স্ত্রী
‘আমার স্বামী বিএনপি করতো, এটিই কি তার দোষ ছিল। দলতো সবাই করে। এর জন্য কি তাকে হত্যা করতে হবে? আমার মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। আমার মাথার উপর ছায়া নেই। বাড়িঘর নেই, বেঁড়িতে থাকি। এখন ৪ সন্তান নিয়ে আমি কার কাছে যাবো। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী জসিম উদ্দিন বেপারীর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার কেঁদে কেঁদে এসব কথা বলেন।
আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজারে এ আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন শতাধিক নারী ও পুরুষ। মানববন্ধনে বক্তারা এই হত্যাকাণ্ডে জাড়িত বিএনপি নেতা গাজী মোস্তফা কামাল ও কৃষকদল নেতা জিএম শামীমের বিচার চেয়েছেন।
এসময় বক্তব্য দেন- নিহত জসিমের মা সুরাইয়া বেগম, বোন মুন্নি আক্তার, ছেলে মো. হৃদয়, মেয়ে মীম আক্তার ও চাচাতো বোন সাহারা বেগম প্রমূখ। বক্তব্যে সবাই জসিম হত্যা মামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে জসিম হত্যার দুই দিন পর গত ১৬ এপ্রিল তার বাবা হজল করিম বেপারী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী মোস্তফা কামাল ও রায়পুর উপজেলা কৃষকদলের সদস্যসচিব জিএম শামীমসহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮০ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত জসিম উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী ও রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক কবিরাজের অনুসারী ছিলেন। তিনি পেশায় ঢালাই শ্রমিক ছিলেন।
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষকদল নেতা জিএম শামীম ও মোস্তফা গাজীর লোকজন জসিমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। গত ১৪ এপ্রিল রাজধানীর প্রাইম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের