ছাত্রদল নেতা হত্যায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে সাবেক ছাত্রদল নেতা করিব হোসেন হত্যা মামলায় থানা যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াছদানি।
ওসি জানান, গতকাল সোমবার রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে যুবদল নেতা জহুরুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তাকে এনায়েতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক করিব হোসেন হত্যার ঘটনায় তার ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ২২ মার্চে করা এই হত্যা মামলায় এনায়েতপুর থানা বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের ২৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি যুবদল নেতা জহুরুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর মামলার ১০নং আসামি জাবেদ শেখ এলাকায় এসে মামলার বাকি আসামিদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাস্তানি, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অর্থ উপার্জন করে। এতে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় এসব অপকর্ম বন্ধ করার জন্য সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন আসামিদের বলতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং হুমকি প্রদান করে।
পরবর্তীতে গত ১৮ মার্চ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে এনায়েতপুর থানার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৭নং ওয়ার্ডের আয়োজনে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মামলার আসামিরাও একই স্থানে পাল্টা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করার আহ্বান করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ইফতার মাহফিলের স্থান করোনা বাজারে স্থানান্তরিত করা হয়। ফলে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনসহ অন্যান্য নেতারা ইফতার মাহফিলের প্যান্ডেলসহ অন্যান্য সামগ্রী সরাতে গেলে আসামিরা বাধা দেয়। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করলে কবির হোসেনসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কবির হোসেনকে প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত ছাত্রদল নেতার ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে যুবদল নেতা জহুরুলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের