মহিষ লুট করে বিএনপির ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২১:০৯
শেয়ার :
মহিষ লুট করে বিএনপির ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

৪১টি মহিষ লুটের মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এছাড়া আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছে একজন।

আজ রবিবার কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তফা পারভেজের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ১২ জন আসামি। শুনানি শেষে একজনকে জামিন দিয়ে বাকি ১১ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

তারা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান, পলাশ, জাকির, বকুল, অভিক, বক্কর, মোজাফ্ফর, হানা, তককুল, তুহিন ও শাহিনুর। তারা সবাই বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচার বৈরাগীরচর এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মরিচার বৈরাগীরচর গ্রামের মন্ডলপাড়া এলাকা সংলগ্ন পদ্মার চরে মহিষের একটি বাথানে হামলা চালায়। ওই সময় অস্ত্রের মুখে ৪১টি মহিষ লুট করে নিয়ে যায় সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একদল লোক। একই সঙ্গে মহিষের রাখাল মাজদার আলী (৫০), কামাল হোসেন (৩৫) ও সৈকতকে (৩৫) মারধর এবং অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী রহিমপুর মাঠে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাখালদের উদ্ধার করলেও মহিষগুলো উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।

অভিযোগ রয়েছে, লুটের পরপরই ট্রাকযোগে মহিষগুলো পাচার করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। লুট হওয়া ৪১টি মহিষের আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি ৯ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় মহিষের মালিক সাইদ মন্ডলের স্ত্রী তমা খাতুন গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সাইদুর রহমানকে প্রধান আসামি করে উল্লেখিত ১৪ জনের নামসহ আরও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘দৈনিক আমাদের সময়’কে বলেন, ‘৪১টি মহিষ লুটের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করা ১২ আসামির মধ্যে ১১ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।’