রীতি অনুসরণ না হলে আমরা গুচ্ছে থাকব না: শেকৃবি উপাচার্য

শেকৃবি প্রতিনিধি
১২ এপ্রিল ২০২৫, ২২:৫০
শেয়ার :
রীতি অনুসরণ না হলে আমরা গুচ্ছে থাকব না: শেকৃবি উপাচার্য

রোটেশনাল নেতৃত্ব কৃষি গুচ্ছে একটি প্রচলিত রীতি। রীতি অনুসরণ না হলে কৃষি গুচ্ছে থাকবে না বলে জানিয়েছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। একাধারে পাঁচ বছর কৃষি গুচ্ছে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা পেলেই বাকৃবি’র গুচ্ছ ভর্তিতে অংশ নেয়ার ঘোষণার প্রেক্ষিতে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ।

আজ শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে এক আলোচনায় বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘বাকৃবির নেতৃত্বে আগামী পাঁচ বছর টানা কৃষি গুচ্ছ পরীক্ষা হলে তবেই আমরা গুচ্ছে থাকব। না হলে আমরা স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা নেব।’

ড. লতিফ বলেন, 'গুচ্ছ পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য ছিল ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ ও সমন্বিত করা। ফলে আমাদের স্বতন্ত্র সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনায় আমরা গুচ্ছতে গিয়েছি। কিন্তু গুচ্ছের মৌলিকতা যদি হারিয়ে যায়, তাহলে গুচ্ছের যৌক্তিকতা থাকে না। রোটেশনাল নেতৃত্ব কৃষি গুচ্ছে একটি প্রচলিত রীতি। আগেও আমরা নেতৃত্ব দিয়েছি, এবার বাকৃবি দিয়েছে। রীতি অনুসরণ না হলে আমরা গুচ্ছে থাকব না।’

তিনি বলেন, ‘বাকৃবি যদি এককভাবে পাঁচ বছর নেতৃত্ব দিতে চায়, তাহলে আমরা গুচ্ছে যাব না। বরং শেকৃবি স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষা নেবে। তবে অন্য কোনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে আমরা নতুন করে আলাদা গুচ্ছ গঠন করতে প্রস্তুত আছি।’

উল্লেখ্য, এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হয় কৃষি গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা। গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রোটেশনের ভিত্তি ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দেওয়া হয়। প্রথমবার এই রোটেশন শেষে পুনরায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বাকৃবি এবার গুচ্ছের নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাই রোটেশন পদ্ধতিতে আগামী শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছের দায়িত্বে থাকবে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।