সাবেক ওসি মাজহারের স্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

আদালত প্রতিবেদক
০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২১:০৩
শেয়ার :
সাবেক ওসি মাজহারের স্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলামের স্ত্রী লায়লা খানের রাজধানীর বড় মগবাজারে থাকা ৮০ লাখ টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট ও দুইটি গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অন্যদিকে, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ, স্ত্রী মিসেস কানিজ ফাতেমা এবং তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া, মেয়ে রাসনাত তারিন রহমান, ছেলে মুকিতুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া, দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত প্রকৌশলী মো. সফি উদ্দিন ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের এবং মাল্টি সিকিউরিটিজের সিইও হাসান তাহের ইমাম, স্ত্রী সিলমাত চিশতী, ভাই পিমা ইমামের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এসব এ আদেশ দেন।

মাজহারের স্ত্রীর মামলায় দুদকের সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ এ আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে প্রতীয়মান হয়, অভিযুক্ত মাজহারুল কর্তৃক অর্জিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ তার স্ত্রী লায়লা খানের মালিকানায় আছে। তার স্ত্রী লায়লা খানের নামীয় এ ফ্ল্যাটটির মালিকানা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ফলে এটি জব্দের আদেশ দেওয়া প্রয়োজন।

ম্যাক্স গ্রুপ ও তমা গ্রুপের মামলায় নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়, ম্যাক্স গ্রুপ ও তমা গ্রুপের পরিচালকদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি আমদানির নামে ভুয়া এলসি খুলে বিদেশে টাকা পাচার এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

উল্লেখ্য, তাদের অনেকেরই বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকার সম্ভবনা রয়েছে। তার মধ্যে গোলাম মোহাম্মদ বিদেশ গমনকালে এয়ারপোর্ট থেকে বিদেশি পাসপোর্টসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

পাউবোর অতিরিক্ত প্রকৌশলীর মামলার আবেদনে বলা হয়, মো. সফি উদ্দিনের বিরুদ্ধে টেন্ডারে দুর্নীতিসহ শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. সফি উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমণ রহিত করা প্রয়োজন।

মাল্টি সিকিউরিটিজের সিইও-এর মামলায় দুদকের পক্ষে দুদকের উপসহকারী পরিচালক আফিয়া খাতুন তাদের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মাল্টি সিকিউরিটিস লিমিটেডের সিইও হাসান তাহের ইমামের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে নিজে ও স্ত্রী সন্তানদের নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে। তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।