রমজানে ত্বক থাকুক সুস্থ ও সজীব
আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ বলে গণ্য করা হয় ত্বক বা চামড়াকে। পরিবেশ অথবা ঋতুগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাই সংবেদনশীল ত্বকের পরিবর্তন হওয়া অনেকটাই স্বাভাবিক ঘটনা। যেমন শীত বা গ্রীষ্মে ত্বকের অবস্থা একই রকম থাকে না। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা ত্বককে বেশি প্রভাবিত করে।
আমাদের দেশ গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। মুসলিমপ্রধান দেশও বটে। প্রত্যেক সুস্থ এবং প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ। কাজেই কোটি কোটি মুসলমান রোজার মাসে রোজা রাখেন। আজকের আলোচনার বিষয় রমজানে কিভাবে ত্বককে সুস্থ ও সজীব রাখবেন।
রোজায় অনেকের ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। কারও কারও ঠোঁট ও হাত-পা ফেটে চৌচির হয়। অধিক শুষ্ণতার কারণে কারও কারও ত্বক চুলকায়, বিশেষ করে ডায়াবেটিক, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ ও হাইপো-থাইরয়ডিজমে যারা ভুগছেন, তাদের এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে।
রমজানে সিয়াম সাধনা করতে সাধারণত ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এ দীর্ঘসময়ে তরল জাতীয় খাবার বা পানি পান না করার কারণে কারও কারও শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। শুষ্ক ও গরম আবহাওয়ায় এর তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। ফলে পানির পিপাসা লাগে, গলা শুকিয়ে আসে এবং ত্বকে দেখা দেয় শুষ্কভাব। এসব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমাদের শরীর প্রাকৃতিক নিয়মেই ঠরঃধষ ড়ৎমধহং. যেমনÑ ইৎধরহ, ঐবধৎঃ, খঁহমং ইত্যাদি অঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পানি ও অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে ভারসাম্য রক্ষা হয়। ফলে চর্ম ও অন্যান্য অঙ্গে কিছুটা পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এই পানির ঘাটতি পূরণে এবং ত্বক সজীব ও সতেজ রাখতে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে।
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
ত্বকের সুস্থতায় করণীয় : ত্বকের জন্য পুষ্টি আসে ত্বকের নিচে বিদ্যমান রক্তনালি থেকে। তাই ত্বকের ওপরে ব্যবহার করার সামগ্রীর প্রয়োজনীয়তা কম। ইফতারি ও রাতে শোয়ার আগ পর্যন্ত তাই বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার বা পানি পান করা ভালো। সেহরির সময় সাধ্যমতো পানি পান করুন। ইফতারি ও সেহারির মধ্যবর্তী সময়ে ডাবের পানি, জুস, রসালো আনারস, তরমুজ, কমলা, আপেল, আঙুর, শশা, গাজর, কলা ইত্যাদি বেশি বেশি খেতে হবে, যাতে পানির ঘাটতি পূরণ হয়।
যাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে গেছে এবং ঠোঁট ও হাত-পায়ে ফেটে যাচ্ছে, তারা গড়রংঃঁৎরুবৎ ব্যবহার করবেন অথবা ঙষরাব ড়রষ, এষুপবৎরহব, ঠধংবষরহব ইত্যাদি ব্যবহার করবেন। চুলকানি হলে যে কোনো অহঃর-ঐরংঃধসরহব ট্যাবলেট সেবন করবেন। অতিরিক্ত পানি, সাবান, স্যাভলন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন না। যারা উগ, ঈকউ, ঐুঢ়ড়ঃযুৎড়রফরংস রোগে ভুগছেন, তারা রোজার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধের ডোজ ঠিক করে নেবেন এবং অন্যান্য নিয়ম-নীতি মেনে চলবেন। নিয়ম মেনে রমজানের সিয়াম সাধনা করলে বিভিন্ন জটিলতা এড়িয়ে সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব। আপনি সুস্থ থেকে পবিত্র াহে রমজানের সিয়াম সাধনা করুন- এ প্রত্যাশা রইল।
লেখক : চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
সিনিয়র কনসালট্যান্ট
চেম্বার : আলোক হেলথকেয়ার লিমিটেড, মিরপুর-১০, ঢাকা। হটলাইন : ১০৬৭২, ০৯৬৭৮৮২২৮২২