পথ আটকানোর প্রতিবাদ করায় ইসলামী আন্দোলন নেতাকে মারধর

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
০৬ মার্চ ২০২৫, ২১:৩৪
শেয়ার :
পথ আটকানোর প্রতিবাদ করায় ইসলামী আন্দোলন নেতাকে মারধর

ইসলামী আন্দোলনের রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মো. মহিউদ্দিন মানিককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জীবননালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, গ্রামের ‘জীবননালা মহিলা মাদ্রাসা’ ও বাড়ির পথ আটকিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় রোকন মিয়া ও মজনু মিয়া মহিউদ্দিন মানিককে বেধড়ক মারধর করেন। মহিউদ্দিন মানিককে পাংশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মহিউদ্দিন মানিকের বাবা মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির উপর একটি মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আমার ছেলে হাফেজ মো. মহিউদ্দিন। বাড়ির পাশ দিয়ে একটি সরকারি গলি রয়েছে। গলি দখল করে ঘর বানিয়ে রেখেছে রোকন মিয়া ও মজনু মিয়া। সেখান দিয়ে সরকারি ইটের রাস্তা হচ্ছে। সেখান দিয়ে সরকারি গলি বাদ দিয়ে আমাদের মাদ্রাসা ও বাড়ির পথ বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করার প্রতিবাদ করলে আমার ছেলে মহিউদ্দিন মানিককে মারধর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় আমরা আইনের আশ্রয় নিবো। রোকন মিয়া ও মজনু মিয়া বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের আমলে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করেছে। এখনও জালাচ্ছে, আমার ছেলের গায়ে হাত দিয়েছে, মারধর করেছে, গালিগালাজ করেছে। আমরা নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। আমাদের ওপর এমন অত্যাচার, আমরা মেনে নিবো না।

ইসলামী আন্দোলন পাংশা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান খবর পেয়ে পাংশা হাসপাতালে মহিউদ্দিন মানিককে দেখতে যান। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আইনের মাধ্যমে দোষীদের বিচার দাবি করেন।