সাগর-রুনি হত্যা /

১১৬ বারেও এলো না প্রতিবেদন

আদালত প্রতিবেদক
০২ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭
শেয়ার :
১১৬ বারেও এলো না প্রতিবেদন

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১১৬ বারেও না আসায় আগামী ১৫ ডিসেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।আজ রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ মাজহারুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক এ মামলার জামিনে থাকা আসামি পলাশ রুদ্র পালকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রার্থনা করেন।

আবেদনে বলা হয়, আসামি পলাশ রুদ্র পালকে ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন।ওই আসামিকে মামলাটির তদন্তের বৃহত্তর স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ প্রয়োজন। জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু এদিন আসামি পলাশ রুদ্র পালের পক্ষে আদালতে উপস্থিতির জন্য সময় প্রার্থনা করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারক জিজ্ঞাসাদের জন্য এ আসামিকে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করার আদেশ দেন আদালত।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এই হত্যাকাণ্ডের পর এ মামলার প্রথমে তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলানগর থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। ওই বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ইন্সপেক্টর রবিউল আলম। দুই মাসের মতো ডিবি তদন্তের পর হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ২০ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাব। 

মামলায় র‌্যাবের প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন র‌্যাব হেডকোয়াটারের সিনিয়র রহকারী পুলিশ সুপার মো. জাফর উল্লাহ। তিনি প্রায় ২ বছর এ মামলায় তদন্ত করেন। এরপর র‌্যাবের আরও পাঁচজন তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলা তদন্ত করেন। সর্বশেষ র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ভুইয়া ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন।

কিন্ত গত এক যুগে র‌্যাব এ মামলার কোন সুরাহা করতে না পারায় গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার তদন্ত র‌্যাব থেকে সরিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে তার মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার হয়।ওইদিন ঘটনাস্থলে এসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করার কথা বলেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। ওই ৪৮ ঘণ্টা এখন এক যুগে পরিণত হলেও ফলাফল শূন্য।

উল্লেখ্য, মামলাটিতে নিহত রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ গ্রেপ্তার হন। যাদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ রুদ্র পাল জামিনে আছেন।