শারীরিক কিছু সমস্যায় সচেতন হোন
মানবদেহে সাধারণ কিছু রোগ-বালাই ছাড়াও জটিল রোগ আক্রমণ করে থাকে। নারী-পুরুষ উভয়ই এ ধরনের জটিল সমস্যায় পড়তে পারে। তবে সচেতন থাকলে যে কোনো সমস্যা থেকেই আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।
মানুষমাত্রই ইরেকশনে আক্রান্ত হতে পারে। তবে ইরেকটাইল ডিসফাংশন (যা নিয়মিত বা বারবার হয়) মোটেই ভালো কিছু নয় এবং যথাসময়ে চিকিৎসা না নিলে শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। ইরেকটাইল ডিসফাংশন একটি সাধারণ সমস্যা, যা লিঙ্গের অপর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন, মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে হতে পারে। এ রোগ সম্পূর্ণরূপে বিপরীত হতে পারে। তাই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর যৌনজীবনের মানোন্নত করতে, আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং দম্পতির মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক রোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
ইরেকটাইল ডিসফাংশন হলো-
প্রাথমিক নপুংসকতা : এটি এমন এক অবস্থা যে, একজন ব্যক্তি কখনো স্বতঃস্ফূর্ত ইরেকশন অর্জনে সক্ষম নন। এটি পুরুষাঙ্গের কাঠামোর কিছু অস্বাভাবিকতা বা আটকা পড়া স্নায়ুর কারণে হয়ে থাকতে পারে।
সেকেন্ডারি নপুংসকতা : এ অবস্থায় একজন ব্যক্তি অতীতে সফল ইরেকশন করতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু বর্তমানে সফল ইরেকশন করতে অক্ষম।
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
পরিস্থিতিগত নপুংসকতা : এর মানে হলো, হস্তমৈথুনের সময় নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ইমারত করতে পারে কিন্তু তার সঙ্গীর সঙ্গে সফল ইরেকশন করতে অক্ষম।
আংশিক পুরুষত্বহীনতা : একজন মানুষ আংশিক ইরেকশন অর্জন করতে পারে।
সম্পূর্ণ নপুংসকতা : একজন মানুষ কখনই ইরেকশন অর্জন করতে সক্ষম নন বা তার দ্বারা আর সম্ভব নয়।
কারণ : ইরেকশন একটি নিউরোভাসকুলার প্রক্রিয়া। এ কারণে পুরুষাঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত ও স্নায়ুর সবলতা প্রয়োজন। যৌন উত্তেজনার সময় স্নায়ু মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় (আবেগ), যা লিঙ্গে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। এই রক্ত দুটি ফাঁপা প্রকোষ্ঠে জমা হয়, যা কর্পোরা ক্যাভেরনোসা নামে পরিচিত এবং লিঙ্গকে প্রসারিত করে ও শক্ত করে তোলে। পুরুষাঙ্গের রক্তপ্রবাহ বা নার্ভ ইমপুলেসের বাধা বা যে কোনো বাধায় ইরেকটাইল ডিসফাংশন হতে পারে।
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
ঝুঁকি : ইরেকটাইল ডিসফাংশনের ঝুঁকির কারণগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ মানসিক অবস্থা, যেমন চাপ বা উদ্বেগ; মদ ও তামাকের দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার; স্থূলতা; ক্যানসারের জন্য প্রোস্টেট সার্জারি বা বিকিরণ চিকিৎসা; ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের উচ্চমাত্রার মতো অবস্থা, স্নায়ুর আঘাত ইত্যাদি।
চিকিৎসা : ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের কারণ, এর তীব্রতা এবং স্বাস্থ্যগত অন্যান্য অন্তর্নিহিত অবস্থার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সাধারণত সিলডেনাফিল, টাডেলফিল, ভারডিনাফিল, অভ্যানফিল এ ওষুধগুলো শরীরে নাইট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায়, যা লিঙ্গের পেশি শিথিল করে। ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নইলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে, এমনকি হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
লেখক : চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ
চেম্বার : আলোক হেলথ কেয়ার, মিরপুর
আরও পড়ুন:
শীতে মুলা কেন খাবেন?
(পল্লবী শাখা), ঢাকা। হটলাইন : ১০৬৭২